সিফাতুল জান্নাত ওহী
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫১ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৪৯ পিএম
অলংকরণ : মিথিলা ভৌমিক, সপ্তম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
আমাদের গ্রামে ছিল পুরোনো এক জমিদারবাড়ি। মাঝে মাঝেই সেখান থেকে ভুতুড়ে চিৎকার ও বাচ্চাদের কান্নার শব্দ শোনা যেত। একদিন আমি ও আমার বান্ধবী মুনতাহা গভীর রাতে ব্যালকনিতে চাঁদ দেখার জন্য ঘর থেকে চুপি চুপি বের হলাম। আমরা দুই বন্ধু ব্যালকনিতে দাঁড়ানোমাত্রই সেই পুরোনো বাড়ি থেকে অদ্ভুত ডাক দেখতে পেলাম। অন্ধকার বাড়িটি হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠল। বাড়ির দরজা নিজে নিজেই খুলে গেল। এরপর ওই বাড়ি থেকে কান্না ও চিৎকার এবং ভৌতিক আওয়াজ আমাদের কানে এলো। এ শব্দগুলো শুনে আমরা একটু ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু সব ভয় উপেক্ষা করে কিছুটা কৌতূহলী মন ও সাহস নিয়ে আমরা কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের ঘরের দরজা খুললাম। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম সেই জমিদারবাড়ির দিকে। একসময় হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম জমিদারবাড়িতে। ভয়ে ভয়ে বাড়িটিতে প্রবেশ করলাম। বাড়িতে অনেক পুরোনো জিনিসপত্র। এর মধ্যে অদ্ভুত অনেক জিনিস দেখতে পেলাম। একপাশে রয়েছে সাদা কাপড় পরা একটি মানুষের মূর্তি। তার মুখটা চুল দিয়ে ঢাকা। মূর্তিটি দেখে আমরা ভয় পেয়ে দৌড়ে বাড়িটি থেকে বের হয়ে আসি। হাঁপাতে হাঁপাতে এসে পৌঁছি আমাদের বাড়িতে। রাত তখন প্রায় ২টা। ওই দিন ঠিক করলাম, ওই বাড়িতে আর কখনও যাব না। শেষ হলো আমাদের ভূতের গল্প।
দ্বিতীয় শ্রেণি, ভাইবোন মডেল স্কুল, বগুড়া