আইন-আদালত
দিলরুবা শরমিন
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৪ এএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২০ পিএম
পাঠকদের আইনগত সমস্যার সমাধানে এই বিভাগ। নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী দিলরুবা শরমিন
প্রশ্ন : আপা, সব সময় নারী নির্যাতনের খবর পড়ি। পুরুষ কি নির্যাতিত হয় না? ১২ বছর সংসার করার পর সেই সংসার ভাঙতে হচ্ছে। আমাদের দুটি সন্তান আছে। আমার স্ত্রী ব্যবসা শুরু করার পর একগাদা মানুষের সঙ্গে রাতদিন কাটায়। কাউকে কিছু না জানিয়ে এখানে সেখানে চলে যায়। কীভাবে কী করব? বাচ্চাদের কীভাবে সামলাব? আইনের কাছে কি সাহায্য পাব?
তার জন্য এত কিছু করার পরও আমার নামে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছে। অথচ আমার কী অপরাধ সেটাই জানি না। এই যে লোকগুলোর সঙ্গে সে মেশে, তারা তো আমার বাচ্চাদের মেরে ফেলবে। বাবা-মায়ের চেয়ে ওরা কি আপন হতে পারবে কখনও? এ অবস্থায় করণীয় কী? কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি আমি?
-আলমগীর, ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা
উত্তর : আপনি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে উভয়ের বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সাহায্য বা পরামর্শ নিন। কোনো কিছু ভেঙে ফেলা সহজ। ধরে রাখা বা গড়ে তোলা কঠিন।
একান্তই যদি সমাধান করতে না পারেন, তাহলে তো তালাকের বিকল্প নেই। আপনি বেশ কয়েকটি আইনের সাহায্যই নিতে পারেন। তবে আমি বলব সিভিল আইনের পথে হাঁটুন।
আপনার স্ত্রী হয়তো কুচক্রীদের পাল্লায় পড়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। কিন্তু মানসিকভাবে আপনি তো সুস্থ আছেন। আপনি ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করে অভিজ্ঞ একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
সন্তানদের নিয়ে যখন দুশ্চিন্তা করছেন, তখন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওদের কাস্টডিটা নিয়ে নিন। আপনার সন্তানদের লিগ্যাল গার্ডিয়ান আপনি।
স্ত্রীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ দিয়ে দিন। মনে রাখবেন, কাউকে ঠকিয়ে কেউ জেতে না। আপনার স্ত্রী দেরিতে হলেও নিশ্চয়ই একদিন তার ভুল বুঝতে পারবেন।