ওয়াসি তানজীম
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩২ পিএম
পুরোনো যুগের অভিজাত পরিবারের নিত্যব্যবহার্য কাঁসার বাসন বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। তবু পূজা-পার্বণ বা বিভিন্ন উৎসবে এখনও পিতল, কাঁসা ও তামার ব্যবহার দেখা যায়
তামা, কাঁসা ও পিতলের সাদৃশ্য অনেক। তবে এগুলোর কাঁচমাল আলাদা। কাঁসা তৈরি হয় তামা ও টিনের মিশেলে। দস্তা আর তামা গলিয়ে বানানো হয় পিতল। পুরোনো যুগে শুধু জমিদারবাড়ির শোভাই ছিল না এসব ধাতব তৈজসপত্র। কাঁসা, পিতল ও তামা ছিল তাদের নিত্যব্যবহার্য অনুষঙ্গ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘প্রথম পূজা’ কবিতায় কার্তিকের পূজায় তামাপাত্রের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন।
কালের বিবর্তনে কাঁসা-পিতলের বাসনকোসনের ব্যবহার দিন দিন কমে এলেও প্রতিবছর পূজা এলে এমন বাসনকোসনের চাহিদা বেড়ে যায়। কেননা পূজায় সোনা, রুপা, পিতল ও তামার বাসনের ব্যবহারকে শুভ বলে মনে করা হয়। পূজায় কাঁসা-পিতলের বাসন ব্যবহার উত্সবেও এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা।
কোথায় পাবেন, কেমন দাম
পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, ইসলামপুর, তাঁতিবাজার ও সূত্রাপুর কাঁসা-পিতলের তৈজসের জন্য বিখ্যাত। এসব দোকানে ফরমায়েশ দিয়েও নির্দিষ্ট আকার ও নকশার বাসন বানিয়ে নিতে পারবেন। এ ছাড়া নিউ মার্কেট, বনানীসহ ঢাকার বড় বড় মার্কেটের গৃহস্থালি দোকানে মিলবে এমন পণ্য। বিভিন্ন অনলাইন শপেও পাবেন। কাঁসার থালা মিলবে দুই হাজার টাকার মধ্যে। পানির জগ ১ হাজার ৪শ টাকা, থালা-বাটির সেট পাবেন ৫ হাজার টাকার মধ্যে। অনলাইনে তামার জগ ২ হাজার ২০০ টাকা, পিতলের জগ ১ হাজার ৪০০ টাকা, তামার মগ ৮০০ টাকা এবং কাপ-পিরিচ ৮০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
কাঁসা পিতলের বাসনের যত্ন