× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডিমের পুষ্টিগুণ

ডা. শেফা খন্দকার

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪০ পিএম

ডিমের পুষ্টিগুণ

ডিমে আছে নানা গুণ। তা আমরা সবাই কমবেশি জানি। তবে দিনে কী পরিমাণে কটা ডিম খাবেন তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা সম্পর্কে। লিখেছেন ডা. শেফা খন্দকার (এমবিবিএস), আদ দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, যশোর।

পুষ্টিগুণ : ডিম প্রোটিনের সেরা উৎস। সেইসঙ্গে এতে ভিটামিন বি ১২, বায়োটিন, থায়ামিন ও সেলেনিয়াম রয়েছে। ডিমে নয়টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের চাহিদা পূরণ করে। এটি ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদানের ভান্ডারও বটে।

দিনে কটি ডিম খাওয়া উচিত : আমাদের দেহ নিজে থেকে ভিটামিন বি ১২ তৈরি করতে অক্ষম। তাই এ ভিটামিনে সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। ভিটামিন বি ১২-এর প্রস্তাবিত দৈনিক খাওয়ার পরিমাণ হলো প্রায় ২ মাইক্রো গ্রাম। দুটি ডিম একজন মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার ১৫ শতাংশ পূরণ করে।

হার্টের রোগীর জন্য ডিম : ডিমের দুটি অংশ আছে কুসুম ও সাদা অংশ; তার মধ্যে কুসুমে আছে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল। তাই হার্টের রোগীর ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি কুসুম নয়। কিন্তু ডিমের সাদা অংশে আছে প্রোটিন। তাই রোগী তার দেহের চাহিদা মোতাবেক ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ডিম : ডায়াবেটিস রোগীর জন্য দিনে একটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। ডিমে থাকে কোলেস্টেরল, ফ্যাট ও সব ধরনের ভিটামিন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর দেহে ইনসুলিনের ঘাটতি থাকে; ফলে ডায়াবেটিস রোগীর মেটাবলিজম ঠিক মতো হয় না। অতিরিক্ত ডিম খেলে শরীরে যে ফ্যাট জমা হয় সে পরিমাণ ডাইজেশন হয় না। ফলে তাদের ক্ষেত্রে হাইপারলিপিডেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা অনেক গুণ বেড়ে যায়।

শিশুর জন্য ডিম : শিশুর শরীরের জন্য ডিম খুবই উপকারী। প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম শিশুকে খাওয়ানো উচিত। ডিম খেলে কী কী উপকার হয় তা দেখে নিন-

  • ডিমের কুসুমে ফসফোলিপিড উপাদান রয়েছে, যা শিশুর হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।
  • ডিমের কুসুমে রয়েছে জাক্সাথিন ও লুটেইন নামে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা শিশুর চোখ সতেজ রাখে।
  • ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন উপাদান রয়েছে; যার মধ্যে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি অন্যতম। এতে শিশুর হাড় মজবুত হয় এবং হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।
  • ডিমের সাদা অংশে রাইবোফ্লোবিন উপাদান রয়েছে; যা কার্বোহাইড্রেট থেকে শিশুর শরীরে এনার্জি উৎপন্ন করে। এতে শিশু বেশ আরাম পায়।
  • ডিমে অধিক পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ ও সালফার রয়েছে; যা লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং লিভারকে করে তোলে শক্তিশালী।
  • ডিমে রয়েছে কোলাইন ও কোলেস্টেরল; যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সম্পৃক্ত। তা ছাড়া কোলেস্টেরল হজমশক্তি বৃদ্ধি ও শরীরে হরমোন তৈরি করে।

ডিম খেলে ওজন বাড়ে নাকি কমে : ডিমের সাদা অংশ খান, ভুলেও ডিমের কুসুম খাবেন না। ডিমের কুসুমে রয়েছে অনেক বেশি ফ্যাট যা ওজন বাড়াতে সহায়কÑ এ ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। ডিমের কুসুম খেলে ওজন বাড়ার পরিবর্তে ওজন কমবে। সেই সঙ্গে শরীরও ভালো থাকবে। ডিমের কুসুমের কয়েকটি গুণ চলুন জেনে নেওয়া যাক। ডিমের কুসুম ভিটামিন বি ও অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর। এ উপাদানগুলো পেশিতে চর্বি জমতে দেয় না। ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলিন, যা মেটাবলিজম পদ্ধতিকে ঠিক রাখে, ফলে ওজন কমে। পাশাপাশি কুসুমে থাকা ভিটামিন বি ও অ্যামিনো অ্যাসিড ব্রেনের জন্য খুব উপকারী। ডিমের শুধু সাদা অংশ খেলে দেখবেন খানিকক্ষণ বাদেই খিদে পেয়ে যাবে। ফলে আপনাকে আবার খেতে হবে। তাতে কিন্তু ওজন বাড়বে বই কমবে না। কিন্তু ডিমের কুসুমে হেলদি ফ্যাট রয়েছে, যা আপনার ওজন বাড়ায় না, অথচ অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। তবে যাদের কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা