× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কাজে একঘেয়েমি কাটাতে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:১০ পিএম

কাজে একঘেয়েমি কাটাতে

একঘেয়ে কাজ করতে করতে মাঝেসাঝে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। তবে সব ক্ষেত্রেই যে পেশা বদলই একমাত্র সমাধানÑ এমনটা নয়। কর্মক্ষেত্রে একঘেয়েমি কাটাতে কী করবেন দেখে নিন-

রোজ সেই ১০টা-৫টার একঘেয়ে রুটিন। একসময় ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়াদাওয়া, একই বাসে চেপে অফিস আর সেই এক ডেস্কে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই কাজ। বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু বাস্তবে এই রুটিনটা মেনে চলেন প্রতিনিয়ত। অনেকে অভ্যস্ত হয়ে যান, অনেকে হতে পারেন না। সমস্যাটা এই দ্বিতীয় ভাগের মানুষদের নিয়েই। বাড়িতে মনোরঞ্জনের তো হাজারটা উপায় রয়েছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে একঘেয়েমি তাড়া করে বেড়ালে, তা কাটিয়ে ওঠাও কি সম্ভব! পেশা পরিবর্তন বা নিদেনপক্ষে কোম্পানি বদল একটা উপায় হতে পারে। কিন্তু এই বাজারে এক চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরিতে ঢোকা তো হাতের মোয়া নয়। সেক্ষেত্রে কী করবেন সে বিষয়ে থাকছে সহজ কিছু পরামর্শ।

একই রকম কাজের মাঝে বিরতি নিন

অফিসে শুধু একই ধরনের কাজ তো থাকে না। আর সব কাজ করতে সমান একঘেয়েমিও কাজ করে না। হয়তো কিছু ফাইল রেডি করতে হবে, যেটা আপনার সবচেয়ে অপছন্দের কাজ। সেক্ষেত্রে পরপর সেই কাজগুলো না করে মাঝেমধ্যে কিছু অন্য কাজ করুন। সেটা অফিসের কাজও হতে পারে, আবার ছোটখাটো কোনো ব্যক্তিগত কাজও হতে পারে। হয়তো কোনো বন্ধুকে ছোট্ট একটা কল করলেন বা কিছুক্ষণ চ্যাট করলেন। বা ছোট্ট একটা কফি ব্রেক। কিংবা নিজের ওয়ার্কস্টেশনটা একটু গোছালেন। রকম ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে আবার কাজ শুরু করুন।

সৃজনশীল হতে হবে

কাজ একঘেয়ে তখনই লাগে, যখন তাতে নতুনত্ব বলে আর কিছু থাকে না। কাজগুলো হয়তো সব একই করতে হবে, কিন্তু কীভাবে করবেন, সেটা কিন্তু আপনারই হাতে। প্রতিদিন তাই একভাবে কাজ না করে, চেষ্টা করুন এক-একদিন ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে। হয়তো প্রেজেন্টেশন বানাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কিছু গ্রাফিক্স ব্যবহার করলেন বা নতুন কোনো অ্যানিমেশন বা কোনো অডিও অ্যাড করলেন তাতে। এক্সেল শিট তৈরি করার মতো বোরিং কাজেও এই ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করতে পারেন। ভেবে দেখুন, কাজগুলো অন্য কোনোভাবে করে কম সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব কিনা। চিন্তা করুন ব্রেনকেও বুঝতে দিন আপনি নতুন কিছু শিখছেন বা করছেন এতেও একঘেয়েমি আসবে না।

মাঝেমধ্যে বিরতি নিন

অফিসে নিশ্চয় একটা লাঞ্চ বিরতি আছে। সেই সময়টা যথাযথভাবেই বিরতি নিন। তাড়াহুড়ো করে বিরতি নেবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে চা-কফি খেতেও বিরতি নিন। এতে কাজে একঘেয়েমি আসবে না এবং সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে।

মানুষের সঙ্গে মিশুন

ভাবছেন এর সঙ্গে একঘেয়ে কাজ করার কী সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে। যত বেশি লোকের সঙ্গে মিশবেন, কথা বলবেন, তত বেশি আইডিয়া পাবেন বিভিন্ন বিষয়ে। নেটওয়ার্কিং তো হবেই, সঙ্গে নতুনভাবে কাজ করার আইডিয়াও পাবেন। বা অনেক সময় হয়তো এমন কারও সঙ্গেই আলাপ হলো, যিনিও আপনার মতো একই সমস্যায় ভুক্তভোগী। সেক্ষেত্রে দুজনেই দুজনকে সাহায্য করতে পারেন।

অন্য অ্যাকটিভিটি জুড়ে নিন 

ঘণ্টার পর ঘণ্টা একভাবে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে বা ফাইলের পর ফাইল ঘাঁটলে একঘেয়েমি তো আসবেই। তাই চেষ্টা করুন সঙ্গে কোনো পছন্দের অ্যাকটিভিটি করতে। সবচেয়ে সহজ হলো গান শুনতে শুনতে কাজ করা। ছবি আঁকা পছন্দ হলে লেখা বা প্রেজেন্টেশন বানানোর সময় বিভিন্ন ফরম্যাটিং টুল ব্যবহার করুন। কিংবা কাজের ফাঁকে কাগজ-পেনসিল নিয়ে করে নিন একটু আঁকিবুঁকি। খুব কনসেন-ট্রেশনের প্রয়োজন না হলে পছন্দের কোনো সিনেমা চালিয়ে দিয়েও কাজ করতে পারেন। এগুলো বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।

কাজ করুন বাড়িতে বসে

এই সুযোগ মোটামুটি সবার হাতেই রয়েছে। প্রতিদিন অফিস যাওয়াও তো অনেক ক্ষেত্রে একঘেয়েমির কারণ হয়ে উঠতে পারে। মাঝেমধ্যে একদিন তাই বাড়ি থেকেই কাজ করুন। যে দিনগুলোয় তেমন জরুরি কোনো কাজ বা মিটিং থাকবে না, সে রকম দিন ঘরে থেকে কাজ করতেই পারেন। ওয়ার্কস্পেস ফ্লেক্সিবল রাখুন। ছাদে বা ব্যালকনিতে বসে কাজ করতে পারেন অথবা বিছানায় বসে। হাতের কাছে টুকটাক স্ন্যাক্স, চা-কফি রাখুন। সুগন্ধি ফুল সাজান ঘরে, যাতে সব মিলিয়ে বেশ ফ্রেশ একটা আবহ তৈরি হয়। রকম পরিবেশে কাজ করতে পারলে এমনিই অর্ধেক একঘেয়েমি কেটে যাবে।

মনে রাখবেন, কাজ করতে করতে একঘেয়ে বোধ করা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। সুতরাং প্রথমেই চাকরি বদলের সিদ্ধান্ত নেবেন না। তা ছাড়া একঘেয়ে লাগছে এবং সেটা আপনার কাজে প্রভাব ফেলছে, এই উপলব্ধিটা যে করেছেন, সেটাও কিন্তু কম বড় কথা নয়। কারণ সমাধান তো তখনই বেরোবে, যখন সমস্যাটা বুঝতে পারবেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা