ঢেঁড়সে
রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও উপকারী খনিজ
পদার্থ। একনজরে দেখে নিন ঢেঁড়সের
নানা গুণ-
ঢেঁড়শ
বলে সম্বোধন করলে কমবেশি সকলেই
বেশ রেগে যায়। শব্দটি
দিয়ে বোঝানো হয়Ñ তুমি এক্কেবারে
অকর্মণ্য। কিন্তু সুদূর আফ্রিকা থেকে ঘুরতে ঘুরতে
এসে পড়া এই সবজি
এ দেশের রান্নাঘরে বেশ সমাদৃত। গুণ
বিচার করতে গেলে তালিকার
ওপরের দিকেই থাকবে ছিপছিপে, চিরসবুজ সবজিটি। একনজরে জেনে নিন ঢেঁড়সের
পুষ্টিগুণ-
খেতে
নরম কিন্তু একটু তেলে ভাজলে
বা মাছ দিয়ে রান্না
করলেই আহা কী স্বাদ!
ঢেঁড়সের নামে যে বদনাম
ছড়িয়ে আছে গুণহীন বলে,
তা কিন্তু একদম মিথ্যে। ঢেঁড়শ
প্রচুর পুষ্টিগুণের অধিকারী, যা শরীরকে সুস্থ
রাখতে সক্ষম। ভাজা, ভর্তা বা নানা ধরনের
তরকারিতে ঢেঁড়শ বেশ উপাদেয়।
- ঢেঁড়সের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে এবং ক্ষতিকর
ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে।
- নিয়মিত ঢেঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়।
- এটি দেহে লোহিত
রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে এবং রক্তস্বল্পতা
দূর করতে সাহায্য করে।
- গর্ভধারণের নানা সমস্যা কমাতে
এবং গর্ভকালীন শিশুর নিউরাল টিউবে জটিলতা দূর করতে ঢেঁড়শ
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- ঢেঁড়সে রয়েছে সলিউবল ফাইবার পেকটিন, যা দেহের খারাপ
কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
- ঢেঁড়শ খেলে নানা ধরনের
কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
- ঢেঁড়সের পেকটিন অন্ত্রের ফোলা ভাব কমায়
এবং অন্ত্র থেকে বর্জ্য সহজে
পরিষ্কার করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে
সহায়ক ঢেঁড়শ।
- এতে ইনসুলিনের মতো
উপাদান রয়েছে, যা রক্তে সুগারের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ঢেঁড়সের ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে নানা ধরনের
ছোটখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
দূরে থাকে।
- বৃদ্ধ বয়সে একটি সাধারণ সমস্যা
হলো হাড়ের ক্ষয়রোগ বা অস্টিওপোরোসিস। হাড়
ক্ষয়ের কারণে বয়সকালে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়। এই সমস্যাকে
প্রতিরোধ করতে খাদ্যতালিকায় ঢেঁড়শ
রাখুন। ঢেঁড়সে বিদ্যমান ফোলেট হাড়ের গঠন মজবুত করে
এবং ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লুটিন ও
বিটা ক্যারোটিন, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি
উন্নত করে, গ্লুকোমা, ছানি
প্রতিরোধে সাহায্য করে।