হেমন্তের ছড়া-কবিতা
আমির খসরু সেলিম, মাসুম আওয়াল, দিলরুবা নীলা
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪১ পিএম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৬ পিএম
অলংকরণ : জয়ন্ত সরকার
এলো সোনালি দিন
আমির খসরু সেলিম
কুয়াশার রেখা কাটাকাটি খেলে খানিক ক্লান্ত হলে
আরাম করতে নামটা লেখায় ভেজা শিশিরের দলে।
সবুজ চাদরে সাদাটে মমতা মেখে রাখে প্রিয় গাঁ
অনুভব করো, সময় পেলেই তাতে রাখো খালি পা।
কমলার রঙ বোঁটায় আগলে শিউলিরা চোখ মেলে
নরম আলোতে চড়ুই পাখিরা এক্কা-দোক্কা খেলে।
নদী-নালা-খালে উঁকি দিয়ে যায় আকাশের যত নীল
নরম বাতাসে বুক মেলে দেয় সাহসী যে এক চিল।
মাঠ ভরা ধানে, মনে-প্রাণে-গানে সোনালি রঙটা নাচে
মিষ্টি রসের জোয়ার নামে যে লম্বা খেজুরগাছে।
নতুন ফসলে বাঁচার আশায় নবান্ন নাম রাখি
বাংলাদেশের হেমন্ত-রূপ হৃদয় জড়িয়ে মাখি।
হেমন্তের বাড়ি
মাসুম আওয়াল
শিশির ভেজা সকাল ওড়ে
ফড়িং দলে দলে,
কচি কোমল ঘাসের ডগায়
রুপোর কণা জ্বলে।
ভোরের পাখির কিচিরমিচির
মায়া মাখা আলো,
হাসনাহেনা, শিউলী-বকুল
ভীষণ রকম ভালো।
মাঠে ভরা রঙিন ফসল
মাচায় ঝোলে ঝিঙে,
শিমের ফুলে প্রজাপতি
লাউয়ের মাচায় ফিঙে।
মাঠ ভরা ধান সোনালি রঙ
ছুটছে পাতার গাড়ি,
এই গাড়িতে বসে দেখি
হেমন্তদের বাড়ি।
ইচ্ছে করে
দিলরুবা নীলা
ইচ্ছে করে আকাশজুড়ে উড়ি
এঁকেবেঁকে উড়ছে যেমন ঘুড়ি।
যেমন করে ছোটে মেঘের দল
ঘাসের বুকে ফুলের কোলাহল।
ইচ্ছে করে গাঁয়ের মেঠোপথে
ঘুরে বেড়াই রোদের আলোর রথে
কিংবা হারাই প্রজাপতির মতো
রঙবেরঙের পাখা মেলি কতো!
সবুজ পাতায় হই যে হলুদ ফুল
দীঘির জলে ভাসাই এলোচুল।
কত্ত কী যে ইচ্ছে আমার করে
সব ভুলে যাই রাত পোহাবার পরে।