× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রচ্ছদ

শীত ফ্যাশনে জ্যাকেট

অদ্রিকা ইসলাম

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৭ পিএম

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৫ পিএম

মডেল : মীর রাব্বি ও প্রিয়ন্তী উর্বী
পোশাক : রাইজ 
মেকআপ : শোভন মেকওভার
ছবি : ফারহান ফয়সাল

মডেল : মীর রাব্বি ও প্রিয়ন্তী উর্বী পোশাক : রাইজ মেকআপ : শোভন মেকওভার ছবি : ফারহান ফয়সাল

শীতফ্যাশনে সব বয়সির অন্যতম সঙ্গী জ্যাকেট। কেননা শীত নিবারণের পাশাপাশি জ্যাকেট মানিয়ে যায় যেকোনো পোশাকে। উষ্ণতা আর ফ্যাশনের অন্যরকম এক মেলবন্ধন মেলে এ পোশাকে

পোশাকে শীত নিবারণের সঙ্গে স্টাইলটাও সমানভাবে থাকতে হবে, এখন ফ্যাশনপ্রেমীদের মন এ চিন্তায় থাকে। তাইতো কাপড়ের উষ্ণতা, স্টাইল, আরাম সব দিক বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয় পোশাক। এ সময় সব দিক দিয়ে একটা পারফেক্ট শীতের পোশাক জ্যাকেট। ছেলেমেয়ে উভয়ের কাছেই জ্যাকেট বেশ জনপ্রিয়। তাইতো সব ফ্যাশন হাউসও এনেছে সময়োপযোগী জ্যাকেটের কালেকশন। এবার নানা ম্যাটেরিয়ালের জ্যাকেটই তাদের ফ্যাশন হাউসে শোভা পাচ্ছে বলে জানালেন ফ্যাশন হাউস সারার ডিজাইনার মেহরুবা আলম। মেয়েদের ক্ষেত্রে শর্ট, লং, ডেনিমসহ সোয়েটার জ্যাকেটও রাখা হয়েছে। সঙ্গে মেয়েদের ডেনিম কুর্তিগুলোও খুবই আকর্ষণীয়। একই ভাবে ছেলেদের জন্যও থাকছে ডেনিম, গ্যাবার্ডিন থেকে শুরু করে ব্লেজার ফরমাল জ্যাকেটও।

শীত পোশাকে পুরোপুরিভাবে দখল করে আছে পশ্চিমা ধাঁচের জ্যাকেট। আলমারিতে রাখা কয়েকটি জ্যাকেটে পুরো শীত পার করা সম্ভব। তার অন্যতম কারণ এর ডিজাইন ও রঙের ব্যবহার। জ্যাকেটগুলোয় যুক্ত হয়েছে নানা ফাংশন। তাই শুধু জ্যাকেট পরার ভিন্নতার কারণে আলাদা হয়ে যাবে স্টাইল স্টেটমেন্ট। কাজ ও ব্যবহারের দিক থেকে ভাগ করা হয়েছে জ্যাকেট। যেমন বাইকারদের জন্য রয়েছে পেডিং জ্যাকেট, উইন্ডব্রেকার জ্যাকেট, রিভার্সিবল জ্যাকেট, বোম্বার জ্যাকেট, কুইলটিন জ্যাকেট, পাফার, ব্লেজারসহ বেশকিছু জ্যাকেট এখন ট্রেন্ডি। এ জ্যাকেটগুলো আবার বেশ আরামদায়ক। জ্যাকেটে রঙের ব্যবহার সম্পর্কে টুয়েলভ ক্লোদিংয়ের ডিজাইনার সুমন সূত্রধর বলেন, শীতে সব সময়ই উজ্জ্বল রঙ বেশি গুরুত্ব পায়। জ্যাকেটের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে ৭০ শতাংশ জ্যাকেটই গাঢ় রঙ করা হয়। আর ৩০ শতাংশ থাকে হালকা-উজ্জ্বল রঙের। যার মধ্যে রয়েছে লাল, কমলা, গ্রে ও নীল। গাঢ় রঙের মধ্যে থাকছে কালো, নেভিব্লু, ডার্ক গ্রিন বা ফরেস্ট গ্রিন, মেরুন, ব্রাউন। এর অন্যতম কারণ যেকোনো পোশাকের সঙ্গে যেন এটি মানিয়ে যায়। ঠিক তাই হয়। দেখবেন আপনার আলমারির মোটামুটি সব পোশাকের সঙ্গে এ দুই থেকে তিনটি জ্যাকেটই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরছেন।


লেদারের জ্যাকেট

এটা ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে যারা বাইকরাইডার। কারণ এটি পরে সামনের জিপারটা আটকিয়ে দিলে বাতাস লাগার কোনো আশঙ্কা থাকে না। বর্তমানে বাজারে যেসব লেদার জ্যাকেট পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই পিউ লেদার। অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল লেদার বা ফেক লেদার। এগুলো সাধারণত এক কালারেরই হয়। তবে কালো, চকোলেট, ব্রাউন, মেরুন এ ধরনের কালারের দারুণ সব জ্যাকেটে থাকে সামনে পকেটওয়ালা জিপার। সাইডে পকেট, হাতায় সুন্দর মেটালের বোতাম। তা ছাড়া জিপারের ওপর সুন্দর প্লেট দিয়ে তাতেও মেটাল বাটন থাকে। তবে আগের থেকে এগুলোয় কলারের কিছুটা ভিন্নতা এসেছে, অর্থাৎ বেন্ড কলার, গোল কলারের সঙ্গে রেগুলার কলার তো আছেই। এ ছাড়া এগুলোর মধ্যে ওয়েস্টলেস জিপার, পাফি জ্যাকেট অন্যতম।

পেডিং জ্যাকেট

বাইকারদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এ জ্যাকেট। একদিকে ঠান্ডা, অন্যদিকে বাতাস- দুটিই মোকাবিলা যেন করা যায় তা মাথায় রেখে এ জ্যাকেটগুলো তৈরি হয়েছে। একদিকে এগুলো উইন্ডপ্রুফ, অন্যদিকে শরীর রাখবে গরম। প্রথম দিকে এক রঙা তৈরি করা হলেও এখন রঙ ও ডিজাইনে এসেছে পরিবর্তন।

উইন্ডব্রেকার জ্যাকেট

পেডিং জ্যাকেটের মতো মনে হলেও বাইকারদের জন্য এটি পারফেক্ট নয়। উইন্ডব্রেকার জ্যাকেট যেকোনো টি-শার্টের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। রঙ ও ডিজাইনের কারণে বেশ কদর রয়েছে এ জ্যাকেটের। হুডি ও শার্ট-কার্ট এ জ্যাকেট বেশি দেখা যায়। বাইকাররা না পরতে পারলেও সাইকেলপ্রেমীরা শীতে নিত্যদিনের পোশাক বানিয়ে ফেলতে পারেন নিমেষেই।


গ্যাবার্ডিনের জ্যাকেট

এবার ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে এর কদর একটু কম দেখা গেল। তবে নেই বললে ভুল হবে। একটু অন্যভাবে বেশ কিছু হাউস এনেছে গ্যাবার্ডিনের জ্যাকেট। এগুলোয় এক সাইডে বা কলারের কাছে হালকা কাজ করা থাকছে ছেলেমেয়ে ভেদে। অনেকটা ব্লেজার স্টাইলে বানানো এগুলো ফরমালভাবে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। অফ হোয়াইট, সাদা, বিস্কিটসহ যেকোনো হালকা কালারই চলে এ গ্যাবার্ডিনে। 

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের জ্যাকেট এনেছি আমরা। এর মধ্যে আছে ভার্সিটি জ্যাকেট, বোম্বার জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, লেদার স্লিভ জ্যাকেট। বাহারি প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ রেখেছি জ্যাকেটে, যা দেখতে সুন্দর ইউনিক। টাফেটা, উল, ডেনিম, কর্ড্রয় ম্যাটেরিয়াল প্রাধান্য পেয়েছে। ছেলেদের জ্যাকেটে ব্ল্যাক, ব্লু, ব্রাউন রঙ আর মেয়েদের জ্যাকেটে রেড, পিঙ্ক, ব্লু রঙের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তানজিলা তানভীন
ডেপুটি হেড অব ডিজাইন, রাইজ

ডেনিম জ্যাকেট

এটা সব সময়ই জনপ্রিয়। বিশেষ করে কলেজ, ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের কাছে এর বিশেষ আবেদন রয়েছে। এর চাহিদা সব সময়। এখন তো জিন্সের কালারের মধ্যেও এসেছে অনেক ভিন্নতা। হালকা নীল, ডিপ নীল, এ ছাড়া একটায় বিভিন্ন ফেড টাইপের শেড দিয়ে দেখা যায় এগুলো। এ ছাড়া নীল শেডের বাইরে ধূসর, শর্ষে রঙ, হালকা গোলাপি, মেরুন রঙগুলো আছে ট্রেন্ডের শীর্ষে। যা মেয়েরা সিঙ্গেল কুর্তি, শার্ট, টপসের পাশাপাশি সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও অনায়াসে পরতে পারে। এগুলো এখন পাতলা, মোটা, ফুল স্লিভ, স্লিভলেস বিভিন্ন ধরনের হয়। ফ্যাশন হাউসগুলোয় এগুলোর ওপর দারুণ সুতার এমব্রয়ডারি কাজ দেখা গেল। 

কর্ডের জ্যাকেট

এটাও বেশ আরামদায়ক এ সময়। আগে ছিল গতানুগতিক একরঙা কর্ডের কাপড়। এখন বেশ ভিন্নতা এসেছে। এর মধ্যে চেক ও স্টাইপও দেখা যাচ্ছে। সুন্দর ডিজাইনের নানা ধরনের পকেটের সংযোজন একে করে তুলেছে স্টাইলিশ। ক্যাজুয়াল, ফরমাল সব ভাবেই এটা পরার উপযোগী।

বোম্বার জ্যাকেট

ওপরে পলিয়েস্টার টাইপের কাপড় আর ভেতরে আরামদায়ক মসৃণ ফেব্রিকের সমন্বয়ে  তৈরি হয় বোম্বার জ্যাকেট।  জ্যাকেটগুলো  বর্তমানে এ জ্যাকেটের প্যাটার্নে এসেছে বেশ পরিবর্তন। কিছু জ্যাকেটে রয়েছে শর্টকাট মোটিভ। আবার কোনোটা গলা অবধি জিপার লক। ফলে ঠান্ডায় আলাদা মাফলার ব্যবহারের দরকার পড়বে না। জ্যাকেটে নানা রঙের প্রকাশ লক্ষণীয়। এ ছাড়া থাকছে ফ্লোরাল প্রিন্ট ও জ্যামিতিক শেড। ফ্যাশন হাউজ লা রিভের ডিজাইনার  মারুফা শিল্পী বললেন, বোম্বার জ্যাকেট, বিকার জ্যাকেট, টাচ কোট ও ওভারকোটের এবার বেশ ব্যতিক্রম কালেকশন মেয়েদের জন্য আনা হয়েছে। এ জ্যাকেটগুলোর কাটিং ও প্যাটার্নে ভ্যারিয়েশন রয়েছে। যেমন ল্যাপেল কলার, শাল কলার, ম্যান্ডারিন নেকলাইন, ওয়াইড কলারের মাধ্যমে নেকলাইনে নতুনত্ব আনা হয়েছে। 

কাপড়ের জ্যাকেট

এটি এখন মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কাপড় এখন নানাভাবে কোলাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন রঙে ও প্রিন্টের কাপড়ের সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে এগুলো। সঙ্গে থাকছে হালকা সুতার কাজও। আবার ক্যানভাস কাপড়েও দারুণ সব জ্যাকেটে দেখা গেল পকেটে, হাতায় পাইপিনের কাজ। দেশি ফ্যাশন হাউস, যাত্রা, আড়ং ও দেশালে এ ধরনের জ্যাকেটের সমারোহ। এগুলো শাড়ি কিংবা কুর্তির ওপর বেশি মানানসই। এগুলো কিনতে গুনতে হবে শত থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা।

ফ্ল্যানেল

ফ্ল্যানেল কাপড় বেশ আরামদায়ক ও হালকা বলে ছোটবড় সবাই পরতে পারে। আর এটা বহন করা খুবই সহজ। তাই ফ্যাশন হাউসগুলোও এ কাপড়ের নানা ডিজাইনে জ্যাকেট নিয়ে এসেছে। এগুলোর হাতায় রেখেছে বৈচিত্র্য। শোল্ডারে কুঁচি, হাতায় বাটন, লেইস, ফিতা দিয়ে করা হয়েছে নানা নকশা।  

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা