রূপালী চৌধুরী
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ১২:৩২ পিএম
রূপালী চৌধুরী
বর্তমান প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় একটা অংশ চাকরিতে আগ্রহী নয়। তারা চায় নিজেরা নিজেদের জন্য কিছু করতে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা স্টার্টআপ শুরু করেছে। স্টার্টআপের জন্য একটা ফান্ড আছে। ইনভেস্টমেন্টের জন্য একটা অ্যাসোসিয়েশন আছে।
নারী এখন পর্যন্ত এসএমই লোন পায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এজন্য তাকে ওই পরিমাণ জামানতও দেখাতে হয়। এটা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ঋণের শর্ত হিসেবে জামানতের বিষয়টি কোনোভাবে সহজ করলে তা সার্বিকভাবে নারীর উপকারে আসবে। ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। একজন তরুণ যদি জমিজমা দেখাতে পারত তাহলে তার কোনো সমস্যাই থাকত না। প্রাইভেট সেক্টর থেকেও আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সেটা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন তেমন তাদের কাজের সুযোগ তৈরির মাধ্যমেও।
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোভিড মহামারি-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এ গতি শ্লথ করে দিয়েছে। তবু আমাদের তরুণ প্রজন্ম চেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড