হুমায়রা রহমান
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৫ পিএম
গল্পের সঙ্গে সুন্দর ছবিটি এঁকেছে আনিশা খন্দকার। সে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজের সপ্তম শ্রেণি শিক্ষার্থী
পাখির রানি অরুনি। একদিন অরুনিটা উড়তে উড়তে লাকিদের বাগানে চলে এলো। লাকি তখন স্কুলে ছিল। লাকি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। যখন সে বাসায় ফিরে এলো, তখন সে দেখল একটা সুন্দর মেয়ে আর তার কাঁধে ম্যাকাও। মাথায় ছোট্ট টুনটুনি। লাকি মেয়েটিকে প্রশ্ন করল, ‘এই মেয়ে তোমার নাম কী? তুমি আমাদের বাগানে কী করে এলে?’
অরুনি উত্তরে বলল, ‘আমি পাখির রানি অরুনি। উড়তে উড়তে চলে এলাম তোমাদের বাগানে।’
লাকি বলল, ‘এ হতে পারে না। তুমি কী করে আমাদের বাগানে আসবে?’
তখন অরুনি বলল, ‘দেখছ না আমার দুটি ডানা।’
লাকি দেখল, সত্যিই তো কত সুন্দর দুটি ডানা। কবুতরের মতো ডানা। অরুনি বলল, ‘তোমাদের খাঁচায় একটি তোতা। তোমরা ওটা পোষো, তাই না?’
লাকি মাথা নাড়িয়ে বলল, ‘হ্যাঁ। ঠিক বলেছ।’
তখন অরুনিটা রাগী গলায় বলে উঠল, ‘তুমি দয়া করে তোতাটিকে আজই ছেড়ে দাও। তোতাটির কষ্ট হচ্ছে।’
লাকি ভাবল- পাখির রানি বলছে তোতাটিকে ছেড়ে দিতে। তার কথার অবাধ্য হওয়া যাবে না। তোতাটিকে এখনই ছেড়ে দিতে হবে। লাকি ব্যালকনির চৌকাঠের সামনে রাখা পাখির খাঁচা থেকে তোতাটিকে বের করে উড়িয়ে দিল নীল আকাশে।
তোতাটি মনের আনন্দে উড়তে লাগল।
সপ্তম শ্রেণি, কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, নাটোর