অন্দরসজ্জা
নুসরাত খন্দকার
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৩ পিএম
ঈদ মানে খুশি আর আনন্দ। ঈদে নতুন জামা-জুতার সঙ্গে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সবারই থাকে নানা ভাবনা। তবে শুধু নিজেকে সাজালেই তো হলো না, সাজাতে হবে ঘরও। ঘর যদি থাকে পরিপাটি তবে বিশেষ দিন হয়ে উঠবে আরও রঙিন।
ঈদের দিনের সকাল শুরু হয় নানা আয়োজনে। এসবের মাঝে ঘর যদি এলোমেলো থাকে তবে কি দেখতে ভালো লাগে? তা ছাড়া সবার সঙ্গে কুশলবিনিময় আর আতিথেয়তার মাধ্যমে পূর্ণতা পায় ঈদের দিন। তাই তো এই দিনে ঘর রাখতে হবে পরিপাটি। আমাদের সুন্দর রুচির বহিঃপ্রকাশ অন্দর থেকেই পাওয়া যাবে।
ঈদে ঘর সাজিয়ে তুলতে-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
প্রথমেই বলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা। আপনি যেভাবেই সাজাতে চান না কেন প্রথমে ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ঘরের পরিচ্ছন্নতা মানে ঘরের প্রতিটি জিনিস থেকে শুরু করে দেয়াল, জানালার গ্রিল, পর্দা সব প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষ্কার করতে হবে। ঘর পরিষ্কার না থাকলে যতই সুন্দর করে সাজানো হোক, ঘরের মধ্যে পরিপাটি বিষয়টা আসবে না।
নতুন করে সাজানো
ঘরে তো সবই আছে তা-ও কীভাবে আরেকটি নতুন কেনা যায়। কী কী কেনা যায়? যদি কেনার প্রসঙ্গ আসে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তা নির্ভর করবে ঘরের আকার-আয়তন এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী। এ ছাড়া ঘরের জিনিসপত্র ঘরের মধ্যেই অদলবদল করে রাখা যায়। জিনিসপত্র যদি অদলবদল করা হয় এতে ঘরের আকার-আয়তন দেখতে অন্যরকম লাগে এবং ঘরকে বেশ নতুন মনে হয়।
বসার ঘরের সজ্জা
সবার আগে সাজাতে হবে বসার ঘর। পরিবারের লোক থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন সবাই প্রথমে ভিড় জমাবে ড্রয়িং রুমে। তাই তো বসার ঘর সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে কুশন ও পর্দার ব্যবহারই এ রুমে বেশি দেখা যায়। দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের ফ্রেম এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট লাগানো যায়। লম্বা ধাঁচের ফুলদানি এবং দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ড, সাইড স্ট্যান্ড দিয়েও ড্রয়িং রুম সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। রাখতে পারেন ফুলসহ ফুলদানি। আর ফার্নিচারের অদলবদল করলেও ঘরের চেয়ারা পাল্টে যাবে।
খাবার ঘরের সজ্জা
ঈদের মূল আকর্ষণ হিসেবে সব সময়ই থাকে খাবার ঘর। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গৃহিণীদের পুরো সময়টা ডাইনিং টেবিলে দিতে হয়। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে ঘরের মানুষ সবার জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয় ডাইনিংয়ে। তাই তো এ ঘরও রাখতে হবে পরিপাটি। খাবার ঘর যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখার চেষ্টা করুন। বেশি ফার্নিচার রাখবেন না। এ ছাড়া এ ঘরের পর্দা রাখতে পারেন উজ্জ্বল রঙের। এতে ঘর দেখতে বড় ও নান্দনিক লাগবে।
পর্দা ও চাদর
ঈদের সময় অনেকেই জামাকাপড়ের পাশাপাশি নতুন পর্দা ও চাদর কেনে। দেশি নকশিকাঁথা ডিজাইনের ও ব্লকের চাদর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। অন্যান্য সময়ে স্বল্পমূল্যের চাদর কিনলেও ঈদের সময় একটু দামি চাদর কেনায় প্রাধান্য দেন অনেকে। আর সেই চাদরের রঙ বেশিরভাগ সময় বেশ রঙিন হয়। নতুন চাদর বা পর্দা না কিনতে চাইলে পুরোনো চাদর-পর্দা পরিষ্কার করে ইস্তিরি করে নতুন করে সাজালে দেখতে ভালো লাগবে।