নিগার সুলতানা
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪২ পিএম
ঈদ ঘিরে আনন্দের একটি বড় অংশ হলো ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারের আয়োজন। তবে সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এ সময়ে সাবধানে খাবার খেতে হবে। এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন খাবার গ্রহণের ভুলের জন্য স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হলে পুরো আনন্দই মাটি হতে পারে। তা ছাড়া গরমে খাবার নির্বাচনের সময় হতে হবে সচেতন। দেখুন পুুষ্টিবিদের পরামর্শ-
উৎসবের খাবার কেমন হওয়া উচিত, এ সময় ওজন বেড়ে যাবে কি নাÑএসব ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত না হয়ে ঈদ উপভোগ করুন। উৎসবের সব খাবারই আপনি খেতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে খাবারের পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ খাবার গ্রহণ করতে হবে পরিমিত। ঈদের খাবার গ্রহণে যে ব্যাপারগুলো মাথায় রাখতে হবেÑ
আগে থেকে পরিকল্পনা করা
ঈদের দিন বাড়িতে মেহমান আসে অথবা মেহমানের বাড়িতে দাওয়াত থাকে। সে ক্ষেত্রে সারা দিনের জন্য একটা পরিকল্পনা করে ফেলা ভালো। সকালের শুরুটাই হয় মিষ্টি খাবার দিয়ে। মিষ্টি খাবার একদম বাদ না দিয়ে অল্প পরিমাণে গ্রহণ করুন। অথবা যারা মিষ্টি খুব পছন্দ করেন তারা অন্য খাবার যেমন রুটি, পরোটা বা অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে মিষ্টি খাবার একটু বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। তবে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিনে বেশি খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা, বদহজমসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আগে থেকে মাইন্ড সেট করতে হবে পরিমিত খাওয়ার।
খাবার সময় ঠিক রাখতে হবে
খাবার গ্রহণের সময়টা ঠিকমতো রাখতে হবে। অনেকের আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত থাকে। সে ক্ষেত্রে একই সময়ে যদি দুটি বাসায় বেড়াতে যেতে হয় তাহলে খাবার খাওয়ার সময় নিজেকে সামলাতে হবে। অর্থাৎ দুবার খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়া সারা দিনে খুব বেশি খাবার গ্রহণ করা যাবে না। খেতে হবে পরিমিত।
খাবার বাছাই
ঈদের দিন সবার বাসায় পোলাও, কোরমা রান্না হয়। পাশাপাশি থাকে অন্যান্য খাবার। সে ক্ষেত্রে খাবার প্লেটটা চার ভাগে ভাগ করতে হবে। এক ভাগে থাকবে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ পোলাও বা বিরিয়ানি, এক ভাগে সবজি বা সালাদ আর বাকি দুই ভাগ প্রোটিন দ্বারা পূর্ণ করতে হবে। এ ছাড়া রাতের খাবার রাখতে পারেন একদম হালকা ধরনের।
আরও যা করবেন
প্রচণ্ড গরমে হজমে সমস্যা হতে পারে, এ সময় সফট ড্রিংকস না খেয়ে বোরহানি, মাঠা, লাবাং, জিরা পানি রাখতে পারেন।
খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফলের রস ও অন্য তরল খাবার বেশি খেতে হবে। এতে গুরুপাক খাবারের জন্য পেটে স্থান কমে যাবে।
লেবুর রস, চিনি ও লবণ দিয়ে শরবত খাওয়ার পাশাপাশি খেতে পারেন ডাব, কাঁচা আমের জুস, মালটা, আনারস, লাচ্ছি ইত্যাদি।