রমজান মাসে তিন শ্রেণির মানুষ পাওয়া যায়। প্রথমত, যারা ভাজাপোড়া খেয়ে পেটের বারোটা বাজিয়েছেন, সঙ্গে ওজন বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, যারা স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকরÑ দুই ধরনের খাবার খেয়েছেন, কিন্তু ওজন আছে আগের মতোই। তৃতীয়ত, যারা ঠিকমতো না খেয়ে ওজন কমিয়ে বসে আছেন। এই তিন শ্রেণির মানুষের খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত দেখে নিন-
খাদ্যতালিকায় যা রাখতে হবে
খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে হালকা খাবার, যা সহজে হজম হয়। বিভিন্ন রকম ছোট মাছ, মুরগির ঝোল, নানা ধরনের সবজি যেমনÑ লাউ, পেঁপে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, করলা, পালং শাক এগুলো খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। পানীয়র মধ্যে কাঁচা আমের শরবত, আদার রসের শরবত, সল্টেড লাচ্চি রাখতে পারেন।
এ ছাড়াও এখন যেভাবে ব্যালেন্স ডায়েটের রুটিন শুরু করবেনÑ
ক্যালরি সেট করা
অনেকে এ সময় ওজন কমাতে বা ধরে রাখতে ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়; যা একেবারে ঠিক না। কারণ অতি নিম্ন ক্যালরির রুটিন অনেক দিন ধরে রাখা সম্ভব না। তাই সঠিক ক্যালরি গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমনÑ ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির ক্যালরি ইনটেক হওয়া উচিত ১৫০০-১৬০০।
খাবার নির্বাচনে গুরুত্ব দিন
কোনো একটা নির্দিষ্ট খাবারকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দীর্ঘ সময় ডায়েট করা কষ্টকর। যেমনÑ অনেকে ভাত বাদ দিয়ে দেন। সেক্ষেত্রে আবার যখন ভাত ডায়েটে যোগ করা হয়, তখন ওজন বেড়ে যায়।
ব্যায়াম করা
যাদের পেটে চর্বি আছে, তারা যদি সঠিক খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করে, তাহলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। ব্যায়াম না করলে অন্তত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটা উচিত।
বাদ দিতে হবে ভুল চিন্তা
ওজন ধরে রাখা বা কমানো কোনো অসুখ না। আমি তিন মাস ওষুধ খেলাম আমার অসুখ সেরে গেল, আর ওষুধ ছেড়ে দিলামÑ বিষয়টা এমন নয়। সুস্থ থাকতে হলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনাকে সারা বছর মেনে চলতে হবে।
ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ
অনেকে খুব বেশি কঠিন করে ফেলে খাদ্যাভ্যাসকে। যেটার কোনো প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে, ওজন কমে গেলেও প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ওজন মাপা উচিত।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করতে হলে আগে নিতে হবে মানসিক প্রস্তুতি। সেই সঙ্গে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট বানিয়ে সেই অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন। এতে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না, সঙ্গে শরীর থাকবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।
লেখক : পুষ্টিবিদ, লাইফস্প্রিং