যারীন নাযাহ্
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০২ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২১ পিএম
আঁকা : মায়শারা ইসলাম তুরশা
বৈশাখ মাসের প্রথম দিন। বাঙালিদের জন্য আনন্দের দিন। এ দিনে কত যে উৎসব পালন করা হয়। এই আনন্দ উৎসবে আমাদের কত যে মজা লাগে। বৈশাখের দিনে পান্তা-ইলিশ না খেলে হয়! গত বছর বৈশাখী উৎসবের কথা বলি। সকালে পান্তা-ইলিশ খেলাম। কিন্তু শুধু আমি না, আমার সঙ্গে মা-বাবা এবং এক বান্ধবী ছিল। আমাদের বাসায় ওর দাওয়াত ছিল। প্রখর রোদ। আমি এবং আমার বান্ধবী দুজনে মিলে রাজশাহী চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি মেলায় গানের অনুষ্ঠান চলছে। দেশের গান, মাটির গান গাইছেন শিল্পীরা। তাদের সঙ্গে নেচে চলছে দর্শকরাও। আরও রয়েছে হালখাতা করার জন্য দোকান, মিষ্টির দোকান, খেলনার দোকান, ফুচকার দোকান, বেলুন এবং বিভিন্ন পশুপাখি, মুখোশ বিক্রেতা, বায়োস্কোপ সঙ্গে নাগরদোলা।
সবচেয়ে ভালো লাগল, শোলা দিয়ে তৈরি করা কুমির।
অনেক শিশু নাগরদোলায় ওঠে দোল খাচ্ছে। আর হাসিতে মেতে উঠছে। ওদের মজা করা দেখে আমারও ভালো লাগল। নাগরদোলায় উঠলে মেলাটা আর ঘুরে দেখার সময় পাব না। বৈশাখী মেলা এক দিনই হয়। রাত ফুরোলেই মেলা শেষ হয়ে যাবে। তাই মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম আর সেই সঙ্গে মিষ্টি, জিলাপি, ফুচকাও খেলাম। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে সময়ের ঠিক খেয়াল ছিল না। বাড়ি থেকে বলে দিয়েছিল সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরতে এবং আমার বান্ধবীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে। প্রায় সন্ধ্যা নেমে এলো। আমার মেলা দেখাও তখন শেষের পথে। হঠাৎ দেখি মা-বাবা আমাদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তাদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলাম। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে একটু বকা খেলাম। খানিকটা মন খারাপও হলো। এই উৎসবের দিনে আবার কেউ বকে নাকি। তারপর সবাই মিলে আমার বান্ধবীকে তার বাড়িতে রেখে আমরাও বাসায় ফিরে গেলাম।
নবম শ্রেণি, সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী