প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৮ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২২ পিএম
কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের জাদুঘরে মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত মসজিদে নববীর একটি মিনিয়েচার। ছবি: সংগৃহীত
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্মৃতি সংরক্ষণ করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মদিনার সরকার। এ উদ্দেশ্যে গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অনেকগুলো জাদুঘর, গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এসব জাদুঘরে মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন জিনিস, আসবাব ও তৈজসপত্র এবং কোরাআনসহ বিভিন্ন গ্রন্থের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সাত বছর আগে ১৪৩৭ হিজরিতে মদিনায় দ্য কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স ফর এনডাউমেন্ট লাইব্রেরিজ যাত্রা শুরু করে। অনেকগুলো নান্দনিক স্থাপত্যে গড়ে উঠেছে কমপ্লেক্সটি। এতে রয়েছে একটি বিশেষায়িত জাদুঘর। এতে অনেকগুলো দুর্লভ কোরআনের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়েছে। রয়েছে মহানবীর ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাব, কার্পেট ও তৈজসপত্র।
সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের মহাসচিব ড. ফাহাদ আল-ওয়াহাব বলেন, ‘এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সৌদি কাউন্সিল অব মিনিস্টারসের অর্থায়নে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি মদিনার শাসক যুবরাজ ফয়সাল বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের একটি স্বপ্নের প্রকল্প।’
কমপ্লেক্সে থাকা নানা জিনিসের ডিজিটাল ক্যাটালগিং শুরু হযেছে। আগ্রহী যেকোনো ব্যক্তি চাইলেই তাদের সংগ্রহে থাকা মদিনাসংশ্লিষ্ট যেকোনো দুর্লভ বই, পাণ্ডুলিপি বা যেকোনো জিনিস প্রতিষ্ঠানটিতে দান করতে পারেন। কেউ কিছু দান করলে, যথাযথ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তা প্রদর্শনীতে রাখা হবে বলে জানান কমপ্লেক্সের মহাসচিব ড. ফাহাদ আল-ওয়াহাব।
মদিনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক জাদুঘর ‘দার আল-মদিনা মিউজিয়াম’। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হলেও জাদুঘরটি দীর্ঘদিন মানুষের তেমন একটা নজর কাটতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি তাদের কাজের পরিধি বাড়ায় সেখানে সাধারণ দর্শনার্থী ও গবেষকদের আসা-যাওয়া বেড়েছে।
দার আল-মদিনা মিউজিয়ামের নির্বাহী পরিচালক হাসান তাহের বলেন, ‘মদিনার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য এটাই প্রথম আধুনিক জাদুঘর। আমাদের চারটি হলরুম রয়েছে। একটি গবেষণা সাময়িকী রয়েছে। প্রতি বছর নানা ইস্যুতে আমরা অসংখ্য সভা-সেমিনারের আয়োজন করি।’
হাসান তাহেরের তথ্যমতে, দার আল-মদিনা মিউজিয়ামে দুই হাজারের বেশি শিল্পকর্ম (আর্টিফ্যাক্টস) রয়েছে। এসব শিল্পকর্মের মধ্যে প্রাচীন জিনিসপত্র, বিভিন্ন ধরনের নকশা, হাতে-লেখা পাণ্ডুলিপি, নথিপত্র এবং ছবি অন্যতম।
এসব সংগ্রহের কিছু আগামী এপ্রিলে জেদ্দায় আনুষ্ঠেয় ইসলামিক আর্টস বিয়েনালে প্রদর্শন করা হবে। বিয়েনালটি আয়োজন করছে দিরিয়াহ বিয়েনাল ফাউন্ডেশন।