প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩ ২২:৫০ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:৪৫ পিএম
ইয়্যাপস ক্যাফে সাপ দেখছে এক শিশু। ছবি: সংগৃহীত
মানুষ সাধারণত লোমওয়ালা পশুদের পোষে, আদর করে। অন্যদিকে সরীসৃপের প্রতি মানুষের একধরনের ভয় কাজ করে। অথচ তারাও মানুষের সমান মনোযোগ ও আদর পাওয়ার অধিকার রাখে।
সরীসৃপের প্রতি মানুষের উদাসীনতায় কষ্ট পেতেন মালয়েশিয়ার পশুপ্রেমিক ইয়্যাপ মিংগ ইয়েং। তাদের প্রতি মানুষের অহেতুক ভয় কাটাতে একটা কিছু করার কথা ভাবছিলেন তিনি। তাই খুলে বসলেন একটি সরীসৃপবান্ধব ক্যাফে।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠে অবস্থিত ডেকুরি ক্যাফেতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে কয়েক প্রজাতির সাপ ও টিকটিকি। এসব সরীসৃপকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এদের বিষ ছড়ানোর ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এরা মানুষকে কামড়ালে কিছু হয় না।
ডেকুরি ক্যাফেতে খাবারের অর্ডার দিয়ে যে কেউ সেখানে রাখা বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপগুলোর কাছাকাছি যেতে পারে। ছুঁয়ে দেখতে পারে। যেকোনো বয়সের মানুষ তা করতে পারে। সরীসৃপগুলো দেখানোর জন্য বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তারা তা দর্শনপ্রার্থীদের ঘুরিয়ে দেখান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইয়্যাপ বলেন, মানুষ শুধু কুকুর বা বেড়ালের মতো লোমওয়ালা পশুগুলো ভালোবাসে। সরীসৃপকে এড়িয়ে চলে। তাই ভাবলাম, মানুষকে বোঝাতে হবে যে, ভয়ের কিছু নেই। তারাও অন্য প্রাণীর মতো আমাদের মনোযোগ পেতে পারে।
ইয়্যাপ পরিবেশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পশু-পাখি নিয়ে তার বিশেষ গবেষণা রয়েছে। সরীসৃপ প্রাণী নিয়ে তাদের একটি সংগঠনও রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া প্রাণী-বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। তবে দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ প্রাণী বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এটা নিয়ে দেশটির পরিবেশবাদীরা বেশ হতাশ।
সূত্র: রয়টার্স