প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৪:০৯ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:১০ পিএম
৩ কোটি টাকা ৭২ লাখ টাকা লটারি জিতে স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করেন চাউইওয়ান। ছবি : সংগৃহীত
পরিবারের কোনো সদস্য কোটি টাকার লটারি পেলে অন্য সদস্যরাও আনন্দিত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আনন্দ ভাগ্যে জোটেনি থাইল্যান্ডের এক হতভাগ্য স্বামীর। কারণ লটারির টিকিট জেতায় ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে প্রেমিককে নিয়ে ঘর বেঁধেছেন তার স্ত্রী। এমনকি ঘুণাক্ষরেও স্বামীকে জানতে দেননি ১ কোটি ২০ লাখ বাথ (৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা) লটারি জেতার কথা।
লটারি জেতা ওই নারীর নাম চাউইওয়ান। প্রায় ২০ বছর আগে চাউইওয়ানকে বিয়ে করেন ৪৭ বছর বয়সি নারিন। এ দম্পতির ঘরে তিন কন্যাসন্তান আছেন। সাম্প্রতিক এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নারিন ১১ মার্চ স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বসেন।
নারিন জানান, তার ৬২ লাখের বেশি টাকা ঋণ হয়ে যায়। ঋণের টাকা শোধ করতে চাকরির সন্ধানে ২০১৪ সালে তারা সপরিবার দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান। এরপর চাউইওয়ান তাদের মেয়েদের নিয়ে থাইল্যান্ড ফিরে গেলেও চাকরির জন্য দক্ষিণ কোরিয়াতেই থেকে যান নারিন। আর পরিবারের খরচ চালাতে প্রতি মাসে ২৭ থেকে ৩০ হাজার বাথ পাঠাতেন স্ত্রীর কাছে।
পরে নারিন জানতে পারেন তার স্ত্রী ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা জিতেছেন লটারিতে। যদিও তা গোপন রাখা হয় তার কাছ থেকে। বারবার চেষ্টা করে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় ৩ মার্চ থাইল্যান্ডে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু থাইল্যান্ড ফিরেই জানতে পারেন ২৫ ফেব্রুয়ারি এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছেন চাউইওয়ান।
এ বিষয়ে নারিন বলেন, ‘আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত বা কী করব। আমি হতাশ। আমি আশা করিনি যে আমার ২০ বছরের স্ত্রী আমার সঙ্গে এমন করবে। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর মাত্র ৬০ হাজার বাথ আছে। কারণ আমি তাকে প্রতি মাসে টাকা পাঠাতাম। আমি এখন এর বিচার চাই। আমি আমার প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই।’
তবে চাউইওয়ান বলেন, তিনি লটারি জিতে প্রেমিককে বিয়ে করার কয়েক বছর আগেই নারিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নারিন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি এখন পুলিশ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদন্তাধীন।
সূত্র : এনডিটিভি