প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:১৩ পিএম
হায়দরাবাদের নিজামের প্রধানমন্ত্রীর ‘সর্পাকৃতি’ বিশেষ তলোয়ার।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে এবার ভারতে ফিরছে হায়দরাবাদের নিজামের প্রধানমন্ত্রীর ‘সর্পাকৃতি’ বিশেষ তলোয়ার। ভারতে ফেরার পর হায়দরাবাদের যুদ্ধ সংগ্রহশালায় রাখা হবে সেটি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গত শতাব্দীর শুরুতেই ‘সর্পাকৃতি’র ওই তলোয়ার নিজামের প্রধানমন্ত্রী থেকে কিনে নিয়েছিলেন এক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে সেটা নিয়ে ইংল্যান্ড চলে যান তিনি। হাত ঘুরে সেটা চলে আসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো সংগ্রহশালায়।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ফের সেই তলোয়ার স্কটল্যান্ডের থেকে ফেরত পাচ্ছে নয়াদিল্লি। এ ছাড়াও কালো পাথরের সূর্যমূর্তি এবং কানপুরের একটি মন্দিরের দরজার ফ্রেমও ভারতকে ফেরত দেবে গ্লাসগোর ওই সংগ্রহশালা।
ঔপনিবেশিক সময়কার বহু ঐতিহাসিক সামগ্রী দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি উদ্য়োগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
ভারতীয় হাইকমিশনারের চেষ্টায় এবার সাতটি ঐতিহাসিক সামগ্রী ভারতকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে গ্লাসগোর সংগ্রহশালা। এর মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের নিজামের প্রধানমন্ত্রীর ওই ‘সর্পাকৃতি’ তলোয়ার।
গ্লাসগো সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘খ্রিষ্টীয় ১৪ শতকের ওই তলোয়ারটির মালিক ছিলেন হায়দরাবাদের নিজাম মাহবুব আলি খান ষষ্ঠ আসফ ঝা’র প্রধানমন্ত্রী মহারাজা কিষেণ পের্শাদ বাহাদুর ইয়েমিন আস সুলতানত। ১৯০৫ সালে বোম্বে প্রেসিডেন্সির ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল স্যার আর্চিবোল্ড হান্টার সেটি কিনে নেন।
পরবর্তীকালে তলোয়ারটি নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান তিনি।
১৯৭৮ সালে হান্টারের এক বংশধর সেই তলোয়ারটিকে তাদের উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে গ্লাসগোর ওই সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ।
নিজামের প্রধানমন্ত্রীর তলোয়ারটির বেশ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত, তলোয়ারটি দেখতে সাপের মতো। দ্বিতীয়ত, এর খাপে রয়েছে সোনার পাত।
সোনা দিয়ে তৈরি হাতি ও বাঘের ছবি আঁকা রয়েছে ওই তলোয়ারের খাপে। কিছু ঐতিহাসিকের দাবি--একসময় এ তলোয়ার ব্যবহার করতেন স্বয়ং নিজাম।
কিন্তু পরবর্তীকালে তা তার প্রধানমন্ত্রী কিনে নেন। কীভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল তা অবশ্য ঐতিহাসিকদের কাছে স্পষ্ট নয়।
যুদ্ধ সংগ্রহশালার ডিরেক্টর নাগেনডর রেড্ডি বলেন, ‘নিজামের প্রধানমন্ত্রী কিষেণ পের্শাদ বাহাদুর যথেষ্ট বিত্তবান ছিলেন।
তাদের পরিবার বংশপরম্পায় নিজামের রাজসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।
নিজাম এ পরিবারটিকে খুবই বিশ্বাস করতেন। সে কারণেই হয়তো এ পরিবারের কাছে তলোয়ারটি বিক্রি করেন তিনি।
প্রবা/জিজি/এমআই