প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩২ পিএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৮ পিএম
বিমান থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে লাফিয়ে পড়ছেন ট্রেভর জ্যাকব। ছবি : সংগৃহীত
ভিউ পেতে কত কিছুই না করেন ইউটিউবাররা। জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার পাশাপাশি নেন প্রতারণার আশ্রয়ও। তবে জালিয়াতি করে শেষ রক্ষা হয় কী? কেউ কেউ সাময়িকভাবে লাভবান হলেও সম্মান-খ্যাতি হারানো মানুষের সংখ্যাও তো কম না। তাদেরই একজন ইউটিউবার ট্রেভর জ্যাকব। বিমান দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে তাকে যেতে হচ্ছে জেলে। ছয় মাস বন্দিজীবন কাটাতে হবে এই সাবেক অলিম্পিক স্নোবোর্ডারকে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল প্রসিকিউটরা জানিয়েছেন, সামাজিকমাধ্যমে আধিপত্য বজায় রাখতে, সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেতে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে এই অপরাধ করেছেন জ্যাকব। এই ধরনের ‘দুঃসাহসিক’ আচরণ কোনভাবেই সহ্য করার নয়।
এক বিবৃতিতে সাজার ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জ্যাকব। তিনি বলেছেন, এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও মার্জিত করে তুলতে সহায়তা করবে।
ট্রেভর জ্যাকব বিমান ‘দুর্ঘটনার’ ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। ক্লিপটি লাখ লাখ বার দেখা হয়।
একটি পণ্যের প্রচারের অংশ হিসেবে ভিডিওটি ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন জ্যাকব। ক্যালিফোর্নিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩৫ মিনিটের মাথায় তার বিমানটি লস প্যাড্রেস জাতীয় উদ্যানে বিধ্বস্ত হয়েছিল। তবে এর আগেই প্লেন থেকে তিনি লাফিয়ে পড়েন। এ সময় তার সঙ্গে ক্যামেরা, প্যারাসুট ও সেলফি স্টিক ছিল। পরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও সংগ্রহ করেছিলেন জ্যাকব।
জ্যাকেবের ভিডিওটি প্রায় ৩০ লাখবার দেখা হয়েছিল এবং পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও ভিডিও দেখে অনেক দর্শক শুরুতেই এটি দুর্ঘটনা নয় বলে সন্দেহ করেছিলেন। তারা এও বলেছিলেন, জ্যাকব আগে থেকেই প্যারাসুট পরেছিলেন এবং বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করার কোন চেষ্টাই করেননি।
দুর্ঘটনার পর জ্যাকব বিষয়টি জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডকে জানিয়েছিলেন। বোর্ড বলেছিল, ধ্বংসাবশেষ তাকে সংরক্ষণ করতে হবে। পরে জ্যাকব দাবি করেছিলেন, তিনি দুর্ঘটনাস্থল সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
সূত্র : বিবিসি