চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:০৩ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৮ পিএম
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান টিমের চিকিৎসকরা। প্রবা ফটো
দেশে ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো একজন রোগীর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করার কথা জানিয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ নামে ৪৯ বছর বয়সি এক কলেজ শিক্ষকের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করেছে হাসপাতালটি। এ জন্য খরচ হয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানায় হাসপাতালটির হেমাটোলজি ও বিএমটি সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ।
তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রামে একজন রোগীর অটোলোগাস বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) সম্পন্ন করেছি। গত ১৯ জানুয়ারি এই অপারেশন শুরু করি। সফল হতে ১১ দিন সময় লেগেছে। এটি দেশে ঢাকার বাইরে প্রথম বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। এই রোগী এর আগে ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জটিলতার মধ্যে পড়েছিলেন। উনাকে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিলো।
চিকিৎসার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, বিএমটি একটি সূক্ষ্ম ও জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হয়ে যাওয়া বোন ম্যারো বা অস্থি মজ্জাতে সুস্থ কোষ প্রতিস্থাপন করা হয়। রক্তজনিত অসুখ, যেমন; লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ইত্যাদি রোগে আক্রান্তদের জন্য এটি জীবন রক্ষাকারী একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। চট্টগ্রামের চিকিৎসা খাতের প্রথম অটোলোগাস বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আমাদের জন্য তো বটেই, একই সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর জন্যেও গর্বের বিষয়।
এটিকে দেশের স্বাস্থ্যখাতে একটা বড় অর্জন বলে মনে করছেন চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা। জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এটা যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে এটা একটা বিরাট ইতিবাচক অর্জন। এক সময় বিএমটির কথা দেশে চিন্তাই করা যেতো না। এখন এই ধরনের স্পেশালাইডজ সেবা যদি বিকেন্দ্রীকরণ হয় তাহলে রোগীদের খরচ, ভোগান্তি দুটাই কমবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটির নির্বাহী কর্মকর্তা সামির সিং বলেন, ঢাকায় এটি হচ্ছে। অনেকেই করছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে এটাই প্রথম। আমরা এর আগে ঢাকায় ৭৪টি বিএমটি করেছি। এর মধ্যে আমাদের সফলতার হার হচ্ছে ৭৯ শতাংশ। এই ধরনের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা গেলে রোগীর অনেক অপ্রয়োজনীয় খরচ কমবে, পাশাপাশি হয়রানিও কমবে।