প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১১:০০ এএম
প্রতীকী ফটো
আজ ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
১৮৮২ সালের এই দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় এবং নিরাময়ের পথ উদ্ভাবন করেন। তাকে স্মরণ করেই দিনটিতে পালন করা হয় যক্ষ্মা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’।
যক্ষ্মা এখনও বিশ্বের ১০টি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায় এবং ৩০ হাজার আক্রান্ত হয়। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এনটিপির মাধ্যমে দেশে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ জন।
বর্তমানে দেশে ২০০টি জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলছে এবং অতিরিক্ত আরও ৭৬টি জিন এক্সপার্ট মেশিন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচার, জেলা শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা।
চট্টগ্রামে কর্মসূচি
শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এক দিন আগে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। বৃহষ্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে একটি শোভাযাত্রা নগরীর জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআরবি, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, মমতা, ইমেজ, নিষ্কৃতি, আশার আলো, নাটাব, আইআরডি, বার্ডাস, আশার আলো সোসাইটি, এসএমসি, লেপ্রসি মিশন ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এর আগে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় ডা. আবদুল্লাহ-হির-রাফি জানান, চট্টগ্রামে গত এক বছরে ১৫ হাজার ৯৯১ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬৬৬ জন শিশু। এর মধ্যে ১৬১ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।