× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শ্রবণ প্রতিবন্ধী থেকে কানে শুনতে পাওয়া শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৯ পিএম

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীসহ অতিথিদের সঙ্গে শিশুরা। প্রবা ফটো

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীসহ অতিথিদের সঙ্গে শিশুরা। প্রবা ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একসময় শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছিল, বর্তমানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া সেই শিশুরা অতিথিদের সামনে নাচ-গান ও আবৃত্তি শুনিয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে এই ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অতিথিদের উপস্থিতিতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী থেকে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া ৪০ জন শিশু নাচ-গানসহ স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন। এ সময় শিশুদের প্রত্যেকেই কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের মাধ্যমে কানে শোনার সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এইইচএম জহুরুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মনি লাল আইচ লিটু।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অন্যতম প্রধান কাজ। এখানে প্রতিবছর ভালো একটি বরাদ্দ থাকে, যা প্রত্যেকটি সেন্টারে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়। দেশে এখন পর্যন্ত যতো কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট হয়েছে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে খুবই কম হয়েছে। অধিকাংশই হয়েছে সরকারের সহযোগিতায়, অর্থাৎ তাদের পিতামাতার পক্ষে সেই খরচটা বহন করার মতো সামর্থ্য ছিল না। 

তিনি আরও বলেন, সরকারের সমাজসেবামূলক একটি কার্যক্রম। এই কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের মাধ্যমে জন্মগত বধির শিশুদেরকে সমাজে একজন সক্ষম স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে তৈরির সুযোগ। সরকার এটি সবসময় করে যাবে। 

মন্ত্রী বলেন, সবার পক্ষ থেকে একটি দাবি এসেছে যে, কক্লিয়ার ডিভাইসটি নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে সেটির রিপ্লেসমেন্ট খুবই ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। যার ফলে পরিবারের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে আলাদা একটি ফান্ড হতে পারে, যেখান থেকে রোগীর পরিবারকে কক্লিয়ার ডিভাইস রিপ্লেসমেন্ট করা যেতে পারে। যদিও এটি পুরোপুরি সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার যদি একটু সুবিধা করে দেয়, তারপরও রোগীদের পক্ষ থেকে কিছুটা খরচ বহন করতে হবে। 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব পরিবারের একেবারেই সক্ষমতা নেই, তাদের জন্য কোনো একটা ফান্ড হতে পারে। পুরোটা যদি সরকার করে, তাহলে কিন্তু ডিভাইসের যন্ত্রের ওপর কারও নজর থাকে না। এমনকি সবসময় সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া, এটাও বোধহয় ভালো কোনো রীতি নয়। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে, ততটুকু বহর করবে। আর যার একেবারেই নেই, তারপাশে অবশ্যই রাষ্ট্র থাকবে।

স্বাগত বক্তব্যে ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, বিদেশি সার্জনের মাধ্যমে ২০০৫ সালে দেশে প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট শুরু হয়। এর আগে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় ১৯৮৫ সালের দিকে। আর প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুরু হয় ১৯৯৫ সালের দিকে। বর্তমানে বিশ্বে চারটি কোম্পানি মানসম্পন্ন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট তৈরি করে। তাদের মধ্যে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা। এ তিন দেশের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট আমাদের দেশে ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা জরিপ অনুযায়ী দেশে জনসংখ্যার ৮ শতাংশ হেয়াররিং লস আছে। তাদের মধ্য থেকে দেশে আমরা এখন পর্যন্ত ২ হাজার রোগীর অপারেশন করেছি। একটি বেসিক মডেলের কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের গড় মূল্য দাঁড়ায় নয় থেকে দশ লাখ টাকা। উচ্চতর মডেলের ক্ষেত্রে এর মূল্য ২০/৩০ লাখ টাকা হয়ে থাকে। এই মূল্য আমাদের মতো দেশে বেশিরভাগ পরিবারেরই নাগালের বাইরে হওয়ায় সরকারি সহযোগিতায় নামমাত্র মূল্যে আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা