প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩৩ পিএম
ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি
ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর হামলাকারী যুবক হাদি মাতার লেখকের বিতর্কিত উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর দুই পাতা মাত্র পড়েছেন। হামলার পর ঔপন্যাসিক বেঁচে যাওয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, হাদি মাতার বর্তমানে নিউইয়র্ক রাজ্যের শাটাকোয়া কাউন্টি জেলে বন্দি রয়েছেন। কারাগারে থেকে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
হাদি জানান, তার কাছে সালমান স্যার ইসলামকে আক্রমণকারী ব্যক্তি। তবে আশির দশকে ইরান রুশদিকে হত্যার যে ফতোয়া জারি করেছিল তারই অংশ হিসেবে এ কাজ করেছেন কি না নিশ্চিত করেননি তিনি।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির চতুর্থ উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বইটি প্রকাশের পর ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৮৯ সালে লেখককে হত্যার জন্য ফতোয়া জারি করেন।
হাদি বলেন, আমি আয়াতুল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। আমি মনে করি তিনি একজন মহান ব্যক্তি। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।
তবে এ হামলার পরেও সালমান রুশদি বেঁচে আছেন জেনে বেশ অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাদি।
সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন, আমি তাকে (রুশদিকে) পছন্দ করি না। তাকে আমি ভালো মানুষ মনে করি না। তাই তাকে আমার পছন্দ না।
তিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন। তাদের বিশ্বাসকে আঘাত করেছেন।
গত সোমবার মাতারের মা সিলভানা ফারদোস জানান, তিনি তার ছেলের কথিত আচরণের পরে তাকে অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, আমি তার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করেছি, তাকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।
গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি। এতে রুশদির ঘাড়ে ও শরীরে জখম হয়েছে। তার বাহুর স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যকৃতেও ছুরির আঘাত লাগে। এরপর গত শনিবার তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রুশদির পরিবার জানায়, এমন জীবন পরিবর্তন করা আক্রমণের পরেও বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখক আগের মতোই খোশগল্প, মজা করা ছাড়েননি।
শুক্রবার ঔপন্যাসিকের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কের পাবলিক লাইব্রেরিতে তার রচনাগুলো পাঠ করে শোনাবেন বেশ কয়েকজন সাহিত্যিক। এদের মধ্যে রয়েছেন--টিনা ব্রাউন, পল অস্টার, কিরণ দেশাই, আন্দ্রেয়া এলিয়ট, হরি কুনজরু এবং গে টেলেস।
প্রবা/এনএস/জেআই