প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১২ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৪ পিএম
জীবনযাত্রার খরচের সংকটকে ‘সবচেয়ে বড় স্বল্পমেয়াদি ঝুঁকি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
জীবনযাত্রার বাড়তি খরচ আগামী দুই বছরে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক জরিপের তথ্য বলেছে এ কথা। আগামী সপ্তাহে ডাভোস বৈঠকে বসার আগে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সূত্র : এএফপি
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রেক্ষাপটে গত বছরই গোটা বিশ্বে খাদ্য, নিত্যপণ্য ও জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এ ছাড়া কোভিড মহামারির কারণে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে ভোগ্যপণ্যের দাম।
ডব্লিউইএফ বলছে, ‘ধারাবাহিক কিছু আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক ঝুঁকিতে মদদ জুগিয়েছে দ্বন্দ্ব এবং ভূ-অর্থনৈতিক উদ্বেগ। এসবের মধ্যে রয়েছে শক্তি ও খাদ্য সরবরাহ সংকট, যা আগামী দুই বছর অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া জীবনযাত্রার খরচ ও ঋণের পরিমাণ দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, এ ধরনের সংকট দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি নিরসনের প্রচেষ্টাকে অবদমিত করছে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য এবং মানব পুঁজিতে বিনিয়োগ সংক্রান্তগুলোকে।’
পরামর্শক সংস্থা মার্শ ম্যাকলেননান এবং জুরিখ ইনস্যুরেন্স গ্রুপের সঙ্গে মিলে জরিপটি সম্পন্ন করেছে ডব্লিউইএফ। এক হাজার দুশ’রও বেশি বৈশ্বিক ঝুঁকি বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং শিল্পনেতাদের মতামত নেওয়া হয়েছে এটি তৈরির সময়।
জীবনযাত্রার খরচের সংকটকে ২০২৫ পর্যন্ত ‘সবচেয়ে বড় স্বল্পমেয়াদি ঝুঁকি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ডব্লিউইএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া জাহিদি বলেন, ‘এই স্বল্পমেয়াদি ঝুঁকির পটভূমিতে আধিপত্য বিস্তার করছে জ্বালানি, খাদ্য, ঋণ এবং দুর্যোগের মতো বিষয়গুলো।’
জাহিদি আরও বলেন, ‘যারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে তারা আগে থেকেই এগুলো নিয়ে ভুগছে। কারা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য হবেন, সে পরিধিও ধনী ও দরিদ্র দেশে একাধিক সংকটের মুখে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’