× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে প্রাণ হারাচ্ছে ডলফিন

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৩ পিএম

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:১৭ পিএম

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মে মাস পর্যন্ত আড়াই হাজার ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। ছবি : সংগৃহীত

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মে মাস পর্যন্ত আড়াই হাজার ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। ছবি : সংগৃহীত

স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি মৃত ডলফিন ও শুশুক ভেসে আসতে শুরু করেছে কৃষ্ণসাগর উপকূলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য দায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সাগরে রাশিয়ার নৌ-কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই প্রাণিগুলোর মৃত্যুর হার এত বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউক্রেনের টাজলি ন্যাশনাল নেচার পার্কের গবেষণা প্রধানের দায়িত্বে থাকা ইভান রুসেভের কথা বলা যেতে পারে। প্রতিবছর নিজ কর্মক্ষেত্রের ৪৪ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে গড়ে তিন থেকে চারটি মৃত ডলফিন দেখতে পান তিনি। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সে চিত্র পাল্টে গেছে। সামরিক বাহিনী উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় তার প্রবেশাধিকার সীমিত করে দিয়েছে। 

তারপরও গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার উপকূলে ৩৫টি মৃত স্তন্যপায়ী প্রাণি খুঁজে পেয়েছেন রুসেভ ও তার সহকর্মীরা। পরে কৃষ্ণসাগরের অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলেন উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মে মাস পর্যন্ত আড়াই হাজার ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে।

তবে মোট সংখ্যার তুলনায় যৎসামান্য এটি। কারণ, বেশিরভাগ ডলফিনই মারা যাওয়ার পর গভীর সাগরে তলিয়ে যায়। ফলে গণনার বাইরেই রয়ে যায় সেগুলো। এটি শুধু রুসেভের হিসাব নয়। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের অন্যান্য সংস্থাও ডলফিন ও শুশুকের মৃত্যু নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। 

মারে নস্ট্রাম নামের এক পরিবেশবাদী সংগঠন বলছে, ২০১০ সালের পর এবারই এত বেশি স্তন্যপ্রায়ী প্রাণিকে অসহায় পরিস্থিতিতে আটকা পড়তে দেখেছে তারা। গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৯৪টি প্রাণি আটকা পড়েছিল। অন্যান্য বছর এ সংখ্যা থাকে একশর নিচে। 

রুসেভের মতে, ডলফিন ও শুশুকের এই অসহায় অবস্থার জন্য দায়ী রুশ সাবমেরিনের ব্যাপক হারে সোনার যন্ত্রের ব্যবহার। তিনি বলেন, ‘ডলফিনরা যখন সোনার থেকে উৎপন্ন শব্দের চাপের মুখে পড়ে, তখন তাদের স্বাভাবিক চলাচল-ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়। কোনোভাবেই নিজেকে আর সে নড়াতে পারে না। ফলে সেটিকে প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে হয়।’

সোনার যন্ত্রের মাধ্যমে সমুদ্রজলে শ্রবণোত্তর শব্দের গতিবেগ নির্ণয়ের মাধ্যামে সমুদ্রের গভীরতাসহ শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ডলফিন ও শুশুক চলাফেরা ও যোগাযোগের কাজে ইকোলোকেশন নামের এক ধরনের প্রক্রিয়া ব্যবহার করে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে অনেকটা জৈবিক সোনার বলা যেতে পারে। নৌযান থেকে সোনার ব্যবহার করলে প্রাণিগুলোর প্রাকৃতিক এ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের হাতে এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ রয়েছে। সেসবের ভিত্তিতেই তারা বলছেন এ কথা। 

যেমন, ২০০০ সালে বাহামাস দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন নৌবাহিনীর সোনার ব্যবহারের কারণে প্রচুর প্রাণি আটকা পড়েছিল। প্রায় একই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে, যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে।  

এ প্রসঙ্গে বুলগেরিয়ার অলাভজনক সংস্থা গ্রিন বলকানসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দিমিত্র পোপোভ বলেন, ‘সাধারণত সোনার প্রাণিগুলোকে সরাসরি হত্যা করছে না। এগুলো মূলত প্রাণিগুলোর ভেতরের কান নষ্ট করে দিচ্ছে। যার কারণে সেগুলো ঠিকভাবে চলতে পারছে না, খাবার জোগাড় করতে পারছে না। ফলে এগুলো হয় জীবন্ত অবস্থায় আটকা পড়ছে, না হয় ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।’

সূত্র : বিবিসি

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা