প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২ ১৫:৪৮ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২ ১৬:১৮ পিএম
টহলরত নিরাপত্তা কর্মীরা। ছবি; আলজাজিরা।
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে আল-শাবাব জঙ্গিদের হামলার পর ৩০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা একটি হোটেলে অভিযান শেষ করার কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, এ অবরোধে অন্তত ১৩ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন করেক ডজন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ আগস্ট) হোটেলটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব। তারা হোটেলের সামনে দুটি বিস্ফোরণ ঘটানোর পর ভবনটিতে প্রবেশ করে গুলি করা শুরু করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কমান্ডার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলটিতে অভিযান শেষ করেছে। অভিযানে বন্দুকধারীরা মারা গেছে, অভিযান শেষ হওয়ার গত এক ঘণ্টায় ভবন থেকে কোনো বন্দুকের আওয়াজ শোনা যায়নি।
তিনি মোট কতজন বেসামরিক বা নিরাপত্তা কর্মী হতাহত হয়েছে সে সংখ্যা সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দেননি। কতজন আল-শাবাব সদস্য নিহত হয়েছেন সেটিও জানায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সময় রবিবার সকালে একটি সংবাদ সম্মেলনে সব তথ্য দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, হোটেলটিতে আর কোনো বিস্ফোরক রয়েছে কি না সেটিও নিশ্চিত করা দরকার।
রাষ্ট্র পরিচালিত সোমালি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (সোননা) তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী ভবনটির ৯৫ শতাংশ সুরক্ষিত করতে পেরেছে। যার কয়েক ঘণ্টা পর এএফপি এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সোননা টুইটে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে। যার একটিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে হোটেলের একটি কক্ষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে,উড়ে গেছে এর জানালা, সেখানে আছেন এক সেনা সদস্য। আরেকটি ছবিতে দেখানো হয়েছে একটি ক্রেন একজন সেনা সদস্যকে হোটেলে ভবনের তিনতলায় পৌঁছে দিচ্ছে।
এএফপি জানায়, শনিবার গভীর রাতেই সেনাবাহিনী হোটেলটিতে অভিযান শুরু করে দেয়।
পাশের ভবন থেকে এ অভিযান দেখা একজন জানান, সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর হোটেল থেকে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া হোটেলের ভেতর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
হামলা শুরু হওয়ার সময় কয়েক ডজন লোক হোটেলে আটকা পড়েছিল বলে জানায় সেনা কর্মকর্তারা। তারা জানান, অভিযান শুরু করে শিশুসহ কয়েক ডজন লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অবরোধ শেষ হওয়ার পরে সেখানে কতজন আটকে আছেন সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।
নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদিকাদির এএফপিকে, ১৩ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আর পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহিম ডুয়ালে বলেন নিহতের সংখ্যা ১০জনের বেশি।
হায়াত আলী নামে একজন মহিলা বলেন, চার থেকে সাত বছর বয়সী তিনজন যুবক আত্মীয়কে নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলের টয়লেটে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিল। তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রবা/এনএস