× ই-পেপার প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত ফিচার শিল্প-সংস্কৃতি ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

উষ্ণ ইউরোপ, বেকায়দায় পুতিন

প্রবা প্রতিবেদন

১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৯ এএম । আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:২০ পিএম

ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকেই রাশিয়ার গ্যাস প্রশ্নে চিন্তিত সময় পার করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর অন্যতম বড় উদ্বেগই ছিল– মস্কো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কী হবে? 

উদ্বেগ এবং শঙ্কার কারণও রয়েছে। ইউরোপের বহু দেশ দীর্ঘ সময় ধরে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। তাদের বাড়িঘর, কলকারখানা সবই চলে রুশ গ্যাসে। ফলে এটি বন্ধ হয়ে গেলে স্রেফ বিপদে পড়ে যাবে তারা। 

এ কথা পুতিনও জানতেন। ফলে এটিকে তিনি রূপ দিয়েছিলেন হাতিয়ারে। রীতিমতো হুমকি দিয়ে আসছিলেন এ নিয়ে। ইউরোপে শীত দীর্ঘায়িত হলে পুতিন হয়তো নিজের হুমকি বাস্তবায়নের সুযোগও পেতেন। ইউরোপীয় দেশগুলোর জনসাধারণকে ক্ষেপিয়ে দিতেন। নিজ দেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। 

কিন্তু সেগুলোর কিছুই হয়নি। বাদ সেধেছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। ফলে রাশিয়া হারিয়েছে নিজেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বড় রণ সম্পদ। থিংক ট্যাংক চাথাম হাউসের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক কেইর গাইলস বলেন, ‘শীতের সময়কে যুদ্ধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে মনে করার একটি ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে রাশিয়ার।’

গাইলস জানান, এবারের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া চেয়েছিল শীতকে কাজে লাগাতে। এ সুযোগে জ্বালানি অস্ত্র তৈরি করতে। মূলত তারা অপেক্ষায় ছিল একটা তীব্র শীতের। যেটিতে ইউরোপ জমে যাবে এবং একটি পর্যায়ে গিয়ে ভাববে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার জন্য এত বড় মূল্য দেওয়ার কোনো মানে নেই। 

কিন্তু তা হয়নি। মৌসুম পুরোপুরি পার না হলেও মৃদু শীত দেখা গেছে পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপে। এ ছাড়া সবাই মিলে গ্যাস খরচ কমাতে চাইছে। এতে করে পুতিন হারিয়ে ফেলেছেন নিজ হাতে থাকা দর কষাকষির সবচেয়ে বড় সুযোগটি। 

তবে ইউরোপ এ সুবিধা আজীবন ভোগ করে যেতে পারবে না। যুক্তরাজ্য সরকারের সাবেক জ্বালানি কর্মকর্তা অ্যাডাম বেলের মতে, উষ্ণ শীত ‘ইউরোপকে এক বছর’ সময় বের করে দিয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তীব্র দেখা দিলে ইউরোপের সংরক্ষিত গ্যাসের বেশিরভাগই ফুরিয়ে যেত।

ফলে ইউরোপের জন্য গ্যাস সংরক্ষণ চূড়ান্ত সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি। বেল বলেন, ‘কার্যকরীভাবে আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এমন বাড়ি ও ব্যবসা তৈরি করতে হবে, যা আরও কম জ্বালানি খরচ করবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে সরে যেতে হবে।’ 

সমালোচকরা বলছেন, ইউরোপীয় সরকাররা কার্যকরী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বদলে গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বেশি।

সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান রিফর্মের উপপরিচালক জন স্প্রিংফোর্ড বলছেন, ‘সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের উন্নয়নকে গতিশীল এবং উৎসাহিত করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে। বড় একটি পদক্ষেপ হতে পারে উপকূলীয় বাতাসকে কাজে লাগানো। তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আধার সক্ষমতাও গড়ে তুলতে পারে সরকার, যা আরও ন্যায্য, দ্রুত এবং প্রত্যক্ষভাবে রাশিয়ার গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা কমাতে পারবে।

তবে ইউরোপের দেশগুলো আদৌ এ সুযোগকে নিজেদের জ্বালানি সুরক্ষায় ব্যবহার করবে কি না, তা সম্পূর্ণ অন্য বিষয়। গাইলস বলেন, ‘হঠাৎ করে সামনে আসা ইউরোপের দুর্বলতাগুলো তৈরিই হয়েছিল পশ্চিমা শক্তিদের দীর্ঘ আত্মতুষ্টির কারণে।’ সূত্র : সিএনএন 

শেয়ার করুন-

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা