× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চীনে জন্মহার ৬১ বছরের সর্বনিম্নে

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৭ পিএম

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৭ পিএম

চীনে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় সাড়ে আট লাখ শিশু কম জন্মগ্রহণ করেছে। বেইজিংয়ের হাইডিয়ান জেলার তাইপিংলু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ। ২০২০ সালের আগস্টে তোলা। ছবি : সংগৃহীত

চীনে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় সাড়ে আট লাখ শিশু কম জন্মগ্রহণ করেছে। বেইজিংয়ের হাইডিয়ান জেলার তাইপিংলু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ। ২০২০ সালের আগস্টে তোলা। ছবি : সংগৃহীত

চীনে ২০২২ সালে প্রতি এক হাজারে ৬ দশমিক ৭৭ জন শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, যা ১৯৬১ সালের পর সর্বনিম্ন। ২০২১ সালে দেশটির জন্মহার ছিল হাজারে ৭ দশমিক ৫২। ফলে ২০২২ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটিতে আগের বছরের তুলনায় প্রায় আট লাখ ৫০ হাজার শিশু কম জন্মগ্রহণ করেছে। 

এ অবস্থায় ২০২২ সালের শেষ নাগাদ দেশটির মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। ২০২১ সালে তা ছিল ১৪১ কোটি ২৬ লাখ। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত জনসংখ্যা কমায় দেশটি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ঋণাত্মক ধারায় প্রবেশ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে। 

এনবিএসের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের কৃষি ও গ্রামীণবিষয়ক কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান চাই ফ্যাং বলেন, ‘চীনের জনসংখ্যা ২০২২ সালে প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত চূড়ায় পৌঁছেছে। তবে এটা একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু নয়। কারণ আমাদের বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস ছিল, ২০২২ ও ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি চূড়ায় পৌঁছাবে। কিন্তু তা আগেই হয়ে গেল। অর্থাৎ একটু আগে-ভাগেই আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঋণাত্মক ধারায় প্রবেশ করলাম।’

জনসংখ্যা ঋণাত্মকের কারণ

চীনের জনসংখ্যা কমছে, তা নতুন কোনো খবর নয়। এক দশক আগেই চীন সরকার ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেশটির জনসংখ্যা কমার পূর্বাভাস করা হয়েছিল। এমনকি তা ঋণাত্মক হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। 

বিশ্ব অর্থনীতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশটির জনসংখ্যা কমা বা ঋণাত্মক হওয়ার জন্য তাদের এক সন্তান নীতিকে অনেকে দায়ী করেন। 

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন তখনও অর্থনৈতিকভাবে বেশ দুর্বল। এ অবস্থায় ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি ঘোষণা করে চীন সরকার। বিতর্কিত ওই নীতি লঙ্ঘন করে কোনো দম্পতি দুই সন্তান নিলে শাস্তি হতো। এমনকি অনেকে চাকরি হারাত। 

ওই নীতি চীনকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে সহযোগিতা করলেও তাদের সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানুষের মধ্যে কন্যা সন্তানের চেয়ে পুত্র সন্তানের আগ্রহ বেড়ে যায়। ফলে দেশটিতে বর্তমানে ছেলে-মেয়ের অনুপাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। 

এ অবস্থায় ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি বাতিল করা হয়। দুই সন্তান নেওয়ার জন্য মানুষকে নানাভাবে উৎসাহিত করা হয়। ঘোষণা করা হয় নানান প্রণোদনা। 

জনসংখ্যা কমা কতটা ভয়ঙ্কর

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানেও জন্মহার ঋণাত্মক। চীনের জনসংখ্যা ঋণাত্মক হওয়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে তা শিগগির বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন সিঙ্গাপুরের পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক প্রধান পল চেউং। 

পল চেউং বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঋণাত্মক হলে, অর্থনীতিতে তার বড় ধাক্কা লাগে। কিন্তু চীনে এমনটি হওয়ার শঙ্কা নেই। কারণ বিশাল অর্থনীতি চালানোর মতো তাদের পর্যাপ্ত জনসম্পদ রয়েছে। তা ছাড়া ঋণাত্মক ধারার গতি বদলে দিতেও তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।’

সূত্র : গ্লোবাল টাইমস, বিবিসি, গার্ডিয়ান। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা