ভারতের সঙ্গে আন্তরিক আলোচনার জন্য যে শর্ত দিল পাকিস্তান

দেশভাগের ৭৫ বছর পরও ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে নানান ইস্যুতে উত্তেজনা লেগেই আছে। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর দিল্লি-ইসলামাবাদের সম্পর্কের পারদ আরও কয়েক ডিগ্রি নেমে আসে। এ অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গুরুতর ও আন্তরিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুবাইভিত্তিক আল-অ্যারাবিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। এসব যুদ্ধের সাধারণ পরিণতি দুদেশের জন্য একই। এসব যুদ্ধ আমাদের কষ্ট, বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। এসব যুদ্ধ থেকে পাকিস্তান যা শেখার শিখেছে।

‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমার বার্তা হলো, চলুন আমরা এক টেবিলে বসি। কাশ্মীরের মতো আমাদের যেসব দগদগে ইস্যু রয়েছে, তা সমাধানের উপায় খুঁজি। এসব ইস্যুতে গুরুতর ও আন্তরিক আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।’

শাহবাজ শরিফের অভিযোগ, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার জঘন্য অন্যায় করেছে।’ 

আল-অ্যারাবিয়া টিভিকে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা দারিদ্র কমিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করতে চাই। কর্মসংস্থান বাড়াতে চাই। বোমা ও অস্ত্রের পেছনে আমাদের সম্পদ নষ্ট করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি এটাই আমার বার্তা।’

ভারতের গণমাধ্যম স্ক্রলডটইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহবাজ শরিফের সোমবারের মন্তব্যের এক দিন পর মঙ্গলবার তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে একই ইস্যু নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এতে কাশ্মীর ইস্যুটি আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করতে হবে। জাতিসংঘের প্রস্তাব ও জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষার আলোকেই অঞ্চলটির সমস্যার সমাধান করতে হবে। এমনটি না হলে দিল্লির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা সম্ভব নয়।

সূত্র : স্ক্রলডটইন।