প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:১৮ এএম
এএমএক্স এ-১১ ঘিবলি গ্রাউন্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত
রুশ সেনাদের প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ট্যাংকের মতো ভারী
সামরিক উপকরণ সরবরাহ করলেও কিয়েভের যুদ্ধবিমানের অনুরোধের প্রস্তাব বরাবরই প্রত্যাখ্যান
করে আসছে। কিন্তু রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইতালির সংবাদপত্র লা রিপাব্লিকার প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, ইতালীয় সরকার গোপনে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর উপায় খতিয়ে দেখছে।
লা রিপাব্লিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া
মেলোনির আসন্ন কিয়েভ সফরের সময় পাঁচটি যুদ্ধবিমান সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে।
এদিকে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) লা রিপাব্লিকার আরেক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সরবরাহ
করা বিমানগুলোর মধ্যে পুরাতন এএমএক্স এ-১১ ঘিবলি গ্রাউন্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি
টর্নেডো জেটও ইউক্রেনকে দেওয়া হতে পারে। নিবন্ধটিতে আরও বলা হয়েছে, এতো অল্প সংখ্যক
জেট ইউক্রেনের আকাশের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারবে না।
এএমএক্স এ-১১ ঘিবলি বিমানগুলো চলতি বছরের শেষ দিকেই ইতালীয় বিমান বাহিনী
এগুলোকে অবসরে পাঠানোর কথা ছিল।
তবে কোনো ভাবেই ইতালি কিয়েভকে যুদ্ধবিমান সরবরাহকারী প্রথম দেশ হতে চায়
না, এমনই বলা হয়েছে দ্য রিপাব্লিকার নিবন্ধে। অন্য কোনো মিত্র দেশ প্রথমে ইউক্রেনকে
যুদ্ধবিমান দেওয়ার পরই কেবল তারা দিতে চায়। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের দিকে তাকিয়ে আছে
দেশটি।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস আগেই বলেছেন, ইউক্রেনকে
যুদ্ধবিমান সরবরাহের তাড়া নেই যুক্তরাজ্যের। এ ছাড়া যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে গেলে, এর
নির্মাতা দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করতে হয়। এ ছাড়া কিয়েভের এফ-১৬ এর আবেদনের আহ্বানে
সাড়া দেয়নি খোদ যুক্তরাষ্ট্রও।
তবে মস্কো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে পশ্চিমাদেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্রগুলো কেবল সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে এবং সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া ও ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকিও তৈরি করছে।
সূত্র : রাশিয়া টুডে