প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১২ এএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৬ এএম
বোমাসদৃশ বস্তু পরিদর্শনে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ছবি : সংগৃহীত
একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর
কোরিয়া। তাদের পরমাণুবহরেও রয়েছে ৮-১০টি পারমাণবিক বোমা। বৈরী দেশ হওয়ায় কার্যত হুমকিতে
রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল ‘পিপল পাওয়ার পার্টি’র
নেতা চুং জিন সুক পরামর্শ দিয়েছেন যে পিয়ংইয়ংয়ের হুমকি কমিয়ে আনতে বিদ্যমান কৌশলগুলো
যদি অকার্যকর হতে থাকে, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব
দিয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২০২২ সালে রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর নতুন বছরের শুরুর দিন
থেকেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। ফলে কোরীয় উপদ্বীপে
উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা কমার কোনো লক্ষণই নেই।
দেশটির ‘কিল চেইন’ প্রথম আক্রমণের নীতির প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা
সংস্থা ইয়োনহাপের প্রতিবেদন অনুসারে চুং জিন সুক সোমবার বলেন, ‘আমাদের নিজেদের পারমাণবিক
সক্ষমতা বিকাশের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে, যদি এই (মহড়ার মতো প্রতিক্রিয়া)
অপর্যাপ্ত হয়।’
যদিও চুং জিন স্পষ্ট করেই বলেন, তার এই চিন্তা সরকারের কোনো সক্রিয় নীতিকে
প্রতিফলিত করে না। বিষয়টি তার একেবারেই ব্যক্তিগত।
‘কিল চেইন’ সামরিক প্রটোকলটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিপরীতে সাজানো
হয়েছিল। এই প্রটোকলের আওতায় যদি উত্তর কোরিয়ার কোনো পারমাণবিক উৎক্ষেপণ আগেই শনাক্ত
করা যায়, তবে দক্ষিণ কোরিয়া আগে উত্তর কোরিয়ার ওপর আগেই আঘাত হানবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে জানিয়েছিলেন,
পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার দ্রুত বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছেন তারা।
এরপরেও দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র দেশ হলেও তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে
দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র বানালে কোরীয়
পেনিনসুলায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সূত্র : রাশিয়া টুডে