প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৫৯ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে গত সোমবার সেন্ট মাইকেলের গোল্ডেন-ডোমড ক্যাথেড্রাল পরিদর্শন করেন৷
অতি গোপনে এবং সবার নজর এড়িয়ে গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ঝটিকা সফরে পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের এই সফরের কথা কাকপক্ষীও টের পায়নি!
আর তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে কীভাবে সবারর নজর এড়িয়ে কিয়েভে পা রাখলেন বাইডেন?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে সবার নজর এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি বোয়িং ৭৫৭ বিমানে চড়ে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দেন দেশটির ৮০ বছর বয়সি এই শীর্ষ ডেমোক্র্যাটিক নেতা৷ তার সঙ্গে ছিলেন মাত্র দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা, চিকিৎসকদের একটি ছোট দল, ঘনিষ্ঠ কয়েকজন উপদেষ্টা এবং দুজন সাংবাদিক।
বাইডেন যে বিমানে গিয়েছিলেন তা সি-৩২ নামেও পরিচিত। তুলনামূলকভাবে আয়তনে ছোট বিমানটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়। অন্য সব সময় যেখান থেকে বাইডেন আন্তর্জাতিক যাত্রার সময় বিমানে চড়েন, সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে এই বিমান দাঁড় করানো হয়েছিল। যাতে বাইরে থেকে ওই বিমানে বাইডেনের উপস্থিতি কেউ ঘুণাক্ষরেও টের না পান। বিমানের প্রতিটি জানালার ঝাঁপও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বাইডেন সাধারণত যখন বিদেশ সফরে যান, তখন সঙ্গে রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ মিলিয়ে অন্ততপক্ষে ১৩ জন সাংবাদিকের একটি দল সঙ্গে যান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একজন চিত্রগ্রাহক এবং একজন সাংবাদিক ছাড়া কাউকে নেওয়া হয়নি।
বাইডেনের সঙ্গে সফরে থাকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, তাকে এবং এপির চিত্রগ্রাহক ইভান গুচিকে ওইদিন রাতেই ডেকে পাঠানো হয়। তারা যেতে সম্মতি প্রকাশ করার পর তাদের ফোন হেফাজতে নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রেসিডেন্ট যতক্ষণ না ফিরে আসছেন, ততক্ষণ তারা ফোন ফেরত পাবেন না।
প্রথমে প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ বাকিদের নিয়ে ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমান। সেখান থেকে প্রসিডেন্টকে নিয়ে যাওয়া হয় পোল্যান্ড। বিমানটি অবতরণ করে পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি এসএইভি গাড়িতে বাইডেনকে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই গাড়ি ছিল কালো কাচে ঢাকা এবং তাতে কোনো সাইরেনের ব্যবহার করা হয়নি।
সাবরিনা জানিয়েছেন, ট্রেনেও তাদের প্রেসিডেন্টের দিকে তাকাতে বারণ করা হয়েছিল। এর পর ১০ ঘণ্টার সফর শেষে ইউক্রেনে পৌঁছান বাইডেন। দেখা করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে।
সূত্র : সিবিএস নিউজ