প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৮ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৭ পিএম
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে জাতির উদ্দেশে বাৎসরিক ভাষণ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২১ ফেব্রুয়ারি তোলা। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেন সংঘাত ধুম করে আকাশ থেকে পড়েনি। এর একটা পটভূমি আছে। ২০১৪ সাল থেকে দনবাসের রুশ ভাষাভাষী সাধারণ মানুষকে যখন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন থেকে পশ্চিমারা তা নিয়ে তামাশা শুরু করে। এখন তা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। কিন্তু আমরা ইউক্রেনে একটু একটু করে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে জাতীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেছেন।
রুশ সংবাদ মাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দনবাসের গৃহযুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০১৪-১৫ সালে দুটি চুক্তি হয়। বেলারুশের রাজধানীতে হওয়া ওই চুক্তিগুলো ‘মিনস্ক অ্যাগ্রিমেন্টস’ নামে পরিচিত।
পুতিনের অভিযোগ, কথা ছিল ইউক্রেনের রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক ও গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্ককে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে দনবাসে শান্তি ফিরবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল।
কিন্তু এসব ছিল পশ্চিমাদের তামাশা, ধাপ্পাবাজি। অথচ দনবাসে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো কিছু করতে বাকি রাখেনি রাশিয়া। তাই ইউক্রেনে এখন যে প্রাণঘাতি সংঘাত চলছে, তার জন্য পশ্চিমই পুরোপুরি দায়ী।’
পুতিনের সিদ্ধান্ত, পশ্চিমাদের এই প্রতারণা নতুন কিছু নয়। ঔপনিবেশিক মানসিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা পশ্চিম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুগে যুগে এমনসব ঘৃণ্য প্রতারণা চালিয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। যুগোস্লাভিয়া, ইরাক, লিবিয়া এবং সিরিয়া তারই সাম্প্রতিক নজির।’
ইউক্রেন অভিযান এক বছর পূর্ণ হতে যাওয়ার মাত্রা দুদিন আগে পুতিন জাতির উদ্দেশে এ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিচ্ছেন, যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শেষ হয়নি। এক বছর আগে আজকের এই দিনে ২১ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে সার্বভৌম দেশের স্বীকৃত দেন পুতিন।
সূত্র : আরটি