প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩০ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৮ পিএম
জাতির উদ্দেশে বাৎসরিক ভাষণ দিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : স্পুৎনিক
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের বছর হতে যাচ্ছে আর ঠিক ২ দিন
পরেই। এদিকে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রায় ২ ঘণ্টার এ ভাষণ মাত্রই শেষ হয়েছে। যেখানে বেশকিছু
বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পুতিন। প্রথমত ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের দায় পুরোপুরি পশ্চিমাদের
ওপর চাপিয়েছেন তিনি। ভাষণে তার অভিযোগ ছিল, ইউক্রেনের রুশ অধ্যুষিত অঞ্চল দনবাসে যখন
ইউক্রেনীয়রা নির্বিচারে হত্যা চালাচ্ছিল, তখন এ ইস্যুতে একেবারে চুপ ছিল পশ্চিমারা।
এমনকি ২০১৪ থেকে দনবাস অঞ্চলে চলতে থাকা লড়াই থামাতে বেলারুশের
রাজধানীতে হওয়া ‘মিনস্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’-ও মানেনি পশ্চিমারা। তাই এ সামরিক অভিযান ছিল অবশ্যম্ভাবী।
যদিও পুতিন তার ভাষণে বলেছেন, সাধারণ ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে
লড়ছে না তার দেশ। বরঞ্চ ইউক্রেনীয়দের জিম্মি করে রেখেছে কিয়েভের নাৎসি শাসকেরা। রুশ
সেনারা কেবল মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছে। একই সঙ্গে তিনি তার ভাষণে বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে
রাশিয়াকে পরাজিত করা অসম্ভব। ক্রেমলিন শক্তি প্রয়োগ করেই এ যুদ্ধ থামাবে। পশ্চিমাদের
দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, ’তারা চাইছে একটি আঞ্চলিক সংঘাতকে বৈশ্বিক সংঘাতে
রূপ দিতে।’
একই সঙ্গে পুতিন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় সবাইকে বুঝতে হবে, যত দূরপাল্লার অস্ত্র ইউক্রেনীয় সেনাদের
দেওয়া হবে, রুশ সেনারা ইউক্রেনীয় সেনাদের সীমান্ত থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেবে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে আরও উল্লেখ করেছেন, মাতৃভূমি রক্ষায়
যেসব রুশ সেনা যুদ্ধে মারা গেছেন, তাদের স্বজনদের সহযোগিতা করার জন্য বিশেষায়িত ফাউন্ডেশন
প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এদিকে পুতিন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার
ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়া এই চুক্তি করেছিল, যেখানে
দুই দেশ একমত হয় যে, তারা দূরপাল্লার নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেডের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০
সীমিত রাখবে। সবশেষ ২০২১ সালে এই চুক্তি আরও ৫ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছিল।
ভাষণে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, রাশিয়ার অর্থনীতি প্রত্যাশ্যার
থেকে ভালো করছে।
একই দিনে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পোল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র : বিবিসি