প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০১ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১১ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে বেইজিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন।
রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীতে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবটি ইঙ্গিত দেয় যে, চীন শান্তি চায়। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই যে, চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না।’
চীনের পরিকল্পনায় শান্তি আলোচনা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। তবে, চীনের ১২ দফায় সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেন থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
চীনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত শির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের জন্য জেলেনস্কির ওই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
এদিকে, চীনের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেইজিংয়ের প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা একমত।’
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বেইজিং রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে। বেইজিং ওই দাবিকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ফের জানিয়েছে, চীন সরকার মস্কোতে ড্রোন এবং আর্টিলারি শেল পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।
চীনা পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার এবিসি নিউজকে বলেন, ‘পুতিন এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, তাহলে এটি কীভাবে ভালো হতে পারে? আমি পরিকল্পনায় এমন কিছুই দেখিনি, যা নির্দেশ করে এমন কিছু যা রাশিয়া ছাড়া অন্য কারোর জন্য উপকারী হবে।’
বিবিসির বিশ্ববিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন বলেছেন, ‘রাশিয়ার পাশে চীন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তারা মুখ রক্ষাকারী শান্তি চুক্তির ব্যবস্থা করে পুতিনকে উদ্ধারের উপায় খুঁজতে চাচ্ছে ।‘
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের মস্কো সফরের পরে চীনা প্রস্তাবগুলো আসে।
আলোচনার পর ওয়াং চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, বেইজিং মস্কোর সঙ্গে ‘রাজনৈতিক আস্থা গভীর করতে’ এবং ‘কৌশলগত সমন্বয় জোরদার করতে’ ইচ্ছুক।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা সর্বশেষ প্রস্তাবগুলোকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘বেইজিংয়ের খুব বেশি বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কারণ তারা ইউক্রেনে অবৈধ আগ্রাসনের নিন্দা করতে পারেনি।’
সূত্র : বিবিসি