প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪০ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৯ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত
পূর্ব ফ্রন্টলাইনে বাখমুত শহরের পরিস্থিতি ‘আরও বেশি কঠিন’ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সেনাবাহিনী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি দখলের চেষ্টা করছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘শত্রুপক্ষ সেখানে আমাদের অবস্থান রক্ষার সবকিছু ক্রমাগত ধ্বংস করছে।
ইউক্রেনের নেতার মন্তব্য এমন সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভ সফরের সময় রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার বিরুদ্ধে চীনকে সতর্ক করেছিলেন।
এক বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে কিছু ভয়ঙ্কর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতে। এর একটি অংশ রাশিয়া এবং তার বিচ্ছিন্নতাবাদী মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি এই শিল্পশহরটি দখলের প্রচেষ্টা তীব্র করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, শহরের প্রায় সব রাস্তা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাত্রিকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, বাখমুতে পা রাখা এবং এর প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা রাশিয়ার নতুন আক্রমণের কারণে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেক সেনার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা বীরত্বের সাথে এলাকাটিকে ধরে রেখেছেন।’
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আবারও আধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘যুদ্ধবিমান পেলে আমাদের দেশের সমগ্র অঞ্চল রাশিয়ান সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করা যায়।’
জ্যানেট ইয়েলেন গত সোমবার কিয়েভে তার আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে অর্থনৈতিক ও বাজেট সহায়তার জন্য সর্বশেষ ১ বিলিয়ন পাউন্ড সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইয়েলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বার্তাটি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইউক্রেন যতদিন না যুদ্ধে জয়ী হবে, ওয়াশিংটন ততদিন সঙ্গে থাকবে।
সিএনএনের সাথে কথা বলার সময় ইয়েলেন আরও বলেন, রাশিয়ার অর্থনীতি পশ্চিমা শক্তিগুলোর ওপর আরোপিত বিশাল নিষেধাজ্ঞার অধীনে এখনও স্থবির হয়ে পড়েনি। তবে তিনি আশা করেছেন যে, মস্কোর অর্থনীতি সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার চীনের যেকোনো পদক্ষেপ যুদ্ধকে ‘গুরুতর’ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছি যুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে।’
সূত্র : বিবিসি