উড়োজাহাজ শিল্প
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ২১:২৬ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ২২:১৪ পিএম
উড়োজাহাজের পরিবেশবান্ধব জৈব জ্বালানি তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মোট আবাদি ভূমির প্রায় অর্ধেক দরকার হবে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে নানান পদেক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে প্রচলিত জেট ফুয়েলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করছে। যুক্তরাজ্য এসব দেশের অন্যতম। কিন্তু দেশটির রয়্যাল সোসাইটির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উড়োজাহাজের বিকল্প জ্বালানি এতটা সহজ হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বছরে বিশ্বে যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়, তার ২ দশমিক ৪ শতাংশ হয় জেট ফুয়েল থেকে। যুক্তরাজ্যে তা ৮ শতাংশ। অথচ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে তা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে বছরে প্রায় এক কোটি ২৩ লাখ টন প্রচলিত জেট ফুয়েল ব্যবহার করা হয়। এটা পরিবেশবান্ধ বা সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরিত করতে সাধারণ চারটি বিকল্পের কথা ভাবা হয়।
এসবের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শস্য ও ফসল থেকে তৈরি জৈব জ্বালানিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। বিশ্বের মধ্যে এ জ্বালানি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে লন্ডনে হিথ্রো বিমানবন্দর। কিন্তু তা বিমানবন্দরটির মোট জ্বালানির মাত্রা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
বাকি পরিবেশবান্ধব জ্বালানিগুলো হলো সবুজ বিদ্যুৎ, অ্যামোনিয়া ও সিন্থেটিক জ্বালানি। কিন্তু উড়োজাহাজ শিল্পে এসব জ্বালানির ব্যবহার অত্যন্ত কম। বিদ্যমান উড়োজাহাজগুলোর ইঞ্জিন যেভাবে ডিজাইন করা, তাতে এসব জ্বালানি ব্যবহার করা কঠিন।
যুক্তরাজ্যে উড়োজাহাজের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। এগুলো আরও গুরুতর। এসব সমস্যার একটি ভূমি সমস্যা।
উড়োজাহাজের পরিবেশবান্ধব জৈব জ্বালানি তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মোট আবাদি ভূমির প্রায় অর্ধেক দরকার হবে। এমনটি করতে গেলে দেশটির খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় সীমাহীন চাপ পড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়্যাল সোসাইটির প্রতিবেদনে।
সূত্র : বিবিসি