প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫০ এএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১১:৫২ এএম
ক্রেন দিয়ে ধ্বংস হওয়া ট্রেনের বগির অবশিষ্টাংশ সরানো হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭-তে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৬ জন। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্য গ্রিসের লারিসা শহরে এথেন্স থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকি যাওয়া একটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে বাইরে থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনার পর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এ দুর্ঘটনাকে অবধারিত বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় দেশটির ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হেলেনিক ট্রেনের সদর দপ্তরের বাইরে এথেন্সে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিক্ষোভকারীরা।
এরই মধ্যে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যাপক হতাহতের পর দেশজুড়ে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখা সম্ভব নয় জানিয়ে বুধবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেন, মানুষের ভুলের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে প্রায় সাড়ে তিনশ যাত্রী ছিলেন; যা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এথেন্স থেকে যাত্রা করে থেসালোনিকির উদ্দেশে। অন্যদিকে পণ্যবাহী ট্রেনটি থেসালোনিকি থেকে ছেড়ে লারিসার দিকে যাত্রা করে। লারিনা শহরের কাছে ট্রেন দুটির মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গ্রিসে ১৯৭২ সালে এমন ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় লরিসার বাইরে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হন।
সূত্র : বিবিসি