প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৬ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৮ পিএম
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ছবি : সংগৃহীত
ইউরোপের নিজস্ব সামরিক ব্লক দরকার, যা আমেরিকার প্রভাবমুক্ত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে এমন একটি সংঘাতের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে জয় নেই, উল্টো
রয়েছে বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সুইস ম্যাগাজিন ওয়েলটোচেকে হাঙ্গেরির
প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এসব কথা বলেন।
অরবান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্ক্ষাই পশ্চিমা
ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এটার সমাধান হবে একটি ‘ইউরোপীয় ন্যাটো।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে চলমান
দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অরবানের কথোপকথন উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেন ও জর্জিয়ায় ন্যাটোর সম্ভাব্য
বিস্তৃতির বিষয়ে উদ্বিগ্ন মস্কো।
অরবান সুইস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুতিন বলছে
তার সমস্যা পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং ইউক্রেন
ও জর্জিয়ায় ন্যাটোর সম্ভাব্য সম্প্রসারণ নিয়ে।’
ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের এটিই অন্তর্নিহিত কারণ বলে মনে করেন অরবান।
তিনি বলেন, ‘পুতিন যা বলছে তা আমরা ঠিকই বুঝতে পারছি, কিন্তু
তা গ্রহণ করছি না।’
তিনি জানান, পশ্চিমারা চাইছে এ যুদ্ধে হাঙ্গেরিকেও টেনে আনতে। এ বিষয়ে
তারা বুদাপেস্টকে নিরবচ্ছিন্ন চাপে রেখেছে। কিন্তু হাঙ্গেরীয় প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে
বলেছেন, এ সংঘাত থেকে দেশটির উচিত দূরে থাকা।
অরবানের মতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার নিজের অর্থ খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রের
স্বার্থের সেবা করছে। ইইউর ব্রাসেলস মিটিংয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ইউরোপীয়দের
থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থই বেশি প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি আরও মনে করেন, ইউক্রেনে শান্তি অর্জন করতে চাইলে সত্যিকারের
আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছা থাকতে হবে। তবে সেই ইচ্ছার অভাব রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।
মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সংঘর্ষে হাঙ্গেরি বারবার শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপ করা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেও অরবান বলেছিলেন, চলমান শত্রুতা বিশ্বের কারও উপকারে আসেনি।
হাঙ্গেরিই একমাত্র ন্যাটো দেশ, যারা ইউক্রেনের জন্য চীনের শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিল।
সূত্র : রাশিয়া টুডে