প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২০:১০ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২৩:৩১ পিএম
জাপানের দ্বীপপুঞ্জের একটি সাধারণ দৃশ্য। কাগাওয়া প্রিফেকচারের মিটোয়োর মাউন্ট শিউড থেকে নেওয়া। ছবি : সংগৃহীত
জাপানে বিপুলসংখ্যক দ্বীপ আছে এটা বিশ্বের অনেকে জানেন। কিন্তু দেশটিতে প্রকৃত দ্বীপের সংখ্যা কত তা খোদ দেশটির বিশেষজ্ঞরাও জানতেন না। সম্প্রতি দেশটির জলসীমায় নতুন ৭ হাজার ২৭৩টি দ্বীপের সন্ধান পাওয়ায় এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির জিওস্পেশিয়্যাল ইনফরমেশন অথরিটি (জিএসআই) পরিচালিত ডিজিটাল ম্যাপিংয়ে উদ্ঘাটিত হয়েছে এই তথ্য।
চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জিএসআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই সংখ্যা এটাই প্রমাণ করে যে জরিপ প্রযুক্তিতে অগ্রগতি হয়েছে এবং গণনার জন্য ব্যবহৃত মানচিত্রের বিশদ প্রতিফলন হয়েছে। তবে এতে জাপানের দখলে থাকা ভূমির সামগ্রিক অঞ্চল পরিবর্তন হয়নি।
১৯৮৭ সালে জাপান কোস্ট গার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশটিতে মোট ৬ হাজার ৮৫২টি দ্বীপ আছে। এতদিন পর্যন্ত এ সংখ্যাই সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল দেশটিতে। কিন্তু এখন দেশটির দ্বীপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮টিতে।
সমুদ্রের বুকে ভেসে ওঠা কোনো ভূখণ্ডের আয়তন ন্যূনতম ১০০ বর্গফুট বা ৩৩০ মিটার হলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সেটিকে দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জাপানে নতুন আবিষ্কৃত সবগুলো দ্বীপের আয়তন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত ন্যূনতম আয়তনের চেয়ে বেশি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে জিএসআই।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের আশপাশের দ্বীপগুলো দীর্ঘদিন বেশকিছু আঞ্চলিক বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে। রাশিয়ার দখলে থাকা দক্ষিণ কুরিল দ্বীপপুঞ্জকে জাপান নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এমনটি এই দ্বীপপুঞ্চকে রাজধানী টোকিওর উত্তরাঞ্চল বলেও বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছে জাপানের বিভিন্ন সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপান থেকে দক্ষিণ কুরিল দ্বীপপুঞ্জের দখল নেয় সোভিয়েত সেনারা।
পূর্ব চীন সাগরের জনমানবহীন সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ আছে জাপানের। দ্বীপটি বর্তমানে জাপানের নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে চীন বরাবরই এই দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও দ্বীপের অংশিদারত্ব নিয়ে বিরোধ আছে জাপানের। ৭০ বছর ধরে জাপান সাগরের একটি দ্বীপ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিবাদ চলছে জাপানের। দ্বীপটি সিউলে ডোকডো এবং টোকিওতে তাকেশিমা নামে পরিচিত।
সূত্র : সিএনএন