প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম
নেতানিয়াহুর আদালত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে মানতে পারছে না অনেক ইসরায়েলি। তারা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে শাসন প্রক্রিয়া স্বৈরতন্ত্রের দিকে চলে যেতে পারে। ছবি : সংগৃহীত
আদালত ব্যবস্থা সংশোধনের সরকারি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে টানা নয় সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের শহরগুলোর রাস্তা উত্তাল রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।
কয়েক হাজার মানুষ শনিবার (৪ মার্চ) রাতে তেল আবিব ও অন্য শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেয়। যদিও গত সপ্তাহের শুরুতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তবে গতকালের বিক্ষোভে
এমনটি হয়নি।
ইতিহাসের শিক্ষক রনেন কোহেন রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি শাসকদের উত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে এসেছি, যা ইসরায়েল সরকার আমাদের ওপর চাপিয়েছে। আমি আশা করি, এই বড় বিক্ষোভ প্রভাব ফেলবে এবং এটিই প্রমাণ যে, আমরা হাল ছেড়ে দেব না।’
জানুয়ারির প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যখন সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তখন থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হওয়া মিছিলগুলোতে বিশাল জনসমাগম শুরু হয়।
মূলত নেতানিয়াহু ও তার ডনপন্থি ও ধর্মীয় মিত্ররা পার্লামেন্টে এমন আইন পাস করতে যাচ্ছে, যা আইনসভা ও নির্বাহী বিভাগে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে সীমিত করবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির
পুরোনো অভিযোগও রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের কারণে এর আগে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে
হয়েছিল। তাই আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে শুরুতেই তিনি আদালতের ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরতে
চাইছেন, যা সাধারণ ইসরায়েলিরা মানতে মোটেও রাজি নয়।
এই সপ্তাহে ইসরায়েলি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে এবং বুধবারে তেল আবিবে দেশব্যাপী ‘বিরতির দিন’ চলাকালীন সংঘর্ষ শুরু হলে বিক্ষোভের তীব্রতা বেড়ে যায়।
শনিবার দেশটির এক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওফির কুবিটস্কি বলেছেন, ‘ইসরায়েল স্বৈরাচারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা জয়ী না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’
সূত্র : আলজাজিরা