প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৯ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৬ পিএম
যুক্তরাষ্টের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্টের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি আকস্মিকভাবে সিরিয়া সফর করেছেন। রাশিয়া-ইরান সম্পর্কের নতুন সমীকরণ, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাম্প্রতিক তৎপরতার মধ্যে মিলির শনিবারের (৪ মার্চ) সিরিয়া সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর বাশার আল-আসাদ বিরোধী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) পক্ষ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আইএসকে পরাস্ত করতেই মার্কিন সেনারা উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় এসডিএফকে সহায়তা করছে বলে দাবি করে পেন্টাগন।
আল মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছর আগে আইএসকে পরাস্ত করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র এসডিএফ। তখন থেকে প্রায় ১০ হাজার আইএস সদস্যকে অস্থায়ী কিছু কারাগারে সেখানে আটক রাখা হয়েছে। তাদের বিচারের জন্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো ট্রাইব্যুনাল গঠনের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।
এ অবস্থায় সম্প্রতি কিছু কারাগারে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০০ সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়েছে আইএস। গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর আরও কিছু আইএস সদস্য কারাগার থেকে পালিয়েছে।
অন্যদিকে ইরানকে ড্রোন ও অন্য আধুনিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি দিতে যাচ্ছে রাশিয়া, এমন একটি শঙ্কা কয়েক মাস ধরে জোর দিয়ে প্রচার করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্ররাও একই শঙ্কা প্রকাশ করেছে। মিলির সফরের সঙ্গে এই বিষয়টিও সম্পৃক্ত।
কারণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে সিরিয়ায় বিপুলসংখ্যক রুশ ও ইরানি সহায়তাপুষ্ট সেনা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থানকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার সেনার সঙ্গে তাদের মাঝেমধ্যেই পরোক্ষ সংঘাত হচ্ছে।
মিলির সফরের মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে বাইডেন প্রশাসনের মনোযোগ আগের মতো অটুট থাকছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের নীতিবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা ডানা স্ট্রউল বলেন, আইএস পরাস্ত। কিন্তু সম্প্রতি তারা মাথাচাড়া দিতে চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমরা পিছপা হব না।
সূত্র : আল-মনিটর