ঘুষের বিনিময়ে ভিসা লেনদেনের অভিযোগে আট বাংলাদেশিসহ ঢাকার সৌদি দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ (নাজাহা)।
ঘুষের বিনিময়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়া ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আট বাংলাদেশি নাগরিক ও ঢাকার সৌদি দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ (নাজাহা)। শনিবার (৪ মার্চ) এক বিৃবতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে নাজাহা।
নাজাহার বিবৃতির বরাতে আল-আরাবিয়্যাহ নিউজ জানায়, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা হলো আশরাফ উদ্দিন আখন্দ, আলমগীর হুসাইন খান, শফিকুল ইসলাম শাহ জাহান, মুহাম্মদ নাসের উদ্দিন নুর, জাইদ উওসিদ মাফি, আবুল কালাম মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক মুসলিম উদ্দিন, আল-আমিন খান ও শহিদুল্লাহ খান।
এসব ব্যক্তিকে সৌদি আরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোন স্থান থেকে কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার বিস্তারিত জানানো হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ঘুষ নিয়ে অবৈধ উপায়ে তাদের ভিসা দিত। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত বাংলাদেশিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। সৌদি আরবে তাদের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার রিয়াল জব্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও বিলাসবহুল গাড়িও জব্ধ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা হলেন কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।
সাবেক এই দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবৈধভাবে ভিসা দিতে সহায়তা করতেন। এ বাবদ তারা প্রায় ৫ কোটি ৫৪ লাখ রিয়াল ঘুষ নিয়েছেন, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান। এ দুই কর্মকর্তা তাদের ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ঘুষের একটা অংশ তারা সৌদিতে পাঠিয়েছেন। আর বাকি অংশটা সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন। তবে কোন দেশ তা নাজাহের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আট বাংলাদেশি ও ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার পাশাপাশি কাছাকাছি সময়ে আরও তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নাজাহ।
গ্রেপ্তাররা হলেন রিয়াদের পুলিশ সার্জেন্ট মেতাব সাদ আল-ঘনুম ও রিয়াদের পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা হাতেম মাস্তুর সাদ বিন তাইয়েব এবং ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল-শালাউত অন্যতম।
আল-ঘনুম ও তাইয়েবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এক সৌদি নাগরিককে ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল-শালাউতের ফার্মে ৬০ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে বাধ্য করেন। বিনিময়ে তারা আল-শালাউতের কাছ থেকে ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল ঘুষ নেন।
সূত্র : আল-আরাবিয়্যাহ, আরব নিউজ
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.