প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২২:৪৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশটিতে তুলনামূলক কম বয়সিদের মধ্যে কোলোরেক্টাল বা কোলন ক্যানসারে আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ছে। ক্যানসারে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ এই কোলন ক্যানসার।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির সর্বশেষ কোলন ক্যানসার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে কোলন ক্যানসার শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্যে ৫০ বা তার কম বয়সি ব্যক্তি একজন। অর্থাৎ ২০ শতাংশ রোগীর বয়স ৫০ বা তার কম। ১৯৯৫ সালে এই হার ছিল ১১ শতাংশ।
কোলোরেক্টাল ক্যানসার এমন একটি রোগ, যেখানে কোলন বা মলদ্বারের কোষগুলোর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটে। সংক্ষেপে একে কোলন ক্যানসার বলা হয়ে থাকে। কোলন হলো বৃহদান্ত্র, যা মলদ্বারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। চলতি মার্চ হলো কোলন ক্যানসার সচেতনতা মাস। এই মাসকে সামনে রেখে আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি নতুন ওই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, কম বয়সিদের মধ্যে কোলন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির ড. আরিফ কামাল বলেন, যেকোনো রোগের উপসর্গের ক্ষেত্রে মানুষের সতর্ক থাকা জরুরি। কোলন ক্যানসারের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মল দিয়ে রক্ত বের হওয়া, কালো রঙের টারি মল এবং পেটে ব্যথা। অত্যধিক অ্যালকোহল পান, ধূমপান এবং স্থূলতা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি বছর ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি লোক কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হবে এবং মৃত্যু হবে ৫২ হাজার রোগীর।
ড. কামাল বলেন, এই ক্যানসার তাড়াতাড়ি হলে তা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। সূত্র : আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি, সিএনএন