প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৫ পিএম
রাশিয়া-চীনের বাণিজ্য ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। ফলে বিপুল সংখ্যক পশ্চিমা কোম্পানি রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়। এসব কোম্পানির শূন্যতা পূরণ করছে অপশ্চিমা কোম্পানিগুলো। অপশ্চিমা কোম্পানিগুলো মধ্যে শীর্ষ রয়েছে চীনা।
শনিবার (৪ মার্চ) চীনের চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে চীনে নিয়োজিত রুশ রাষ্টদূত ইগর মরগুলভ বলেন, ‘চীন ও রাশিয়ার বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। রাশিয়ায় চীনা পণ্যের রপ্তানি ও চীনা কোম্পানির তৎপরতাকে আমরা স্বাগত জানাই।’
‘রাশিয়ায় চীনা কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, গাড়ি ও নানান ধরনের যন্ত্রপাতির রপ্তানি বাড়ছে। আগামীতে এটা আরও বাড়বে। রাশিয়ায় চীনা পণ্য ও কোম্পানির প্রসার দেখে আমি বেশ খুশি।’
বিষয়টি কিন্তু এক পাক্ষিক নয়। অর্থাৎ চীনেও রাশিয়ার পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি বেইজিংয়ে এলাম চার মাস হয়। এখানে রুশ পণ্য বেশ জনপ্রিয়। এটা অত্যন্ত সন্তোষজনক।’ বর্তমানে নিজেদের মোট কৃষি পণ্যের প্রায় ২ শতাংশ রাশিয়া চীন থেকে আমদানি করে বলেও জানান তিনি।
চীনে রুশ পণ্যের রপ্তানি বাড়ার আরও নতুন ক্ষেত্র রয়েছে বলে মনে করেন ইগর মরগুলভ। মরগুলভ বলেন, ‘ইতোমধ্যে চীনে আমরা অনেক ধরনের পণ্য রপ্তানি করি। আগামীতে তা আরও বাড়বে। উদাহরণ স্বরূপ কাগজ শিল্প, রাসায়নিক শিল্প, সার উত্পাদন এবং ধাতুবিদ্যার কথা বলা যায়।
আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-চীনের বাণিজ্য ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালে তা ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, ইউক্রেনে হামলার পর এক হাজারের বেশি পশ্চিমা কোম্পানি রাশিয়া ত্যাগ করেছে। এ জায়গা দখলে চীনের পর রয়েছে ভারত।
সূত্র: আরটি