× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাড়িতেই আটকা পড়ে আছেন আফগান নারীরা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:১০ এএম


আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আফগান নারীরা তাদের অধিকারের দাবিতে গত বুধবার কাবুলে বিক্ষোভ করেন। ছবি : এএফপি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আফগান নারীরা তাদের অধিকারের দাবিতে গত বুধবার কাবুলে বিক্ষোভ করেন। ছবি : এএফপি

আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানদের নিষেধাজ্ঞার পর কয়েক লাখ আফগান নারীশিক্ষার্থী এক বছরেরও বেশি সময় মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগ দিতে পারছেন না।

গত বুধবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, তালেবান সরকারের অধীনে আফগানিস্তান হলো নারীদের অধিকারের ক্ষেত্রে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দমনকারী দেশ’। দেশটির কর্তৃপক্ষ কার্যকরভাবে নারীদের বাড়িতে আটকে রেখেছে।

আফগানিস্তানের জাতিসংঘের মিশনের প্রধান রোজা ওটুনবেভা আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আফগান নারীদের জনস্রোতের বাইরে ঠেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে তালেবানদের পদ্ধতিগত, ইচ্ছাকৃত এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করা গেছে।’

২৫ লাখ মেয়ে স্কুলের বাইরে

তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে মেয়েদের স্কুলগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শাসকরা প্রাথমিকভাবে এর কারণ হিসেবে দেখিয়েছে, স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের ঘাটতি, লিঙ্গ বিভাজনের জন্য স্কুল অবকাঠামো অনুপযুক্ত ইত্যাদি। 

কিছু প্রবীণ তালেবান নেতা অবশ্য স্কুলগুলোকে পুনরায় খোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য ইসলামে কোনো বৈধ কারণ নেই।

ইউনেস্কোর মতে, বর্তমানে স্কুল বয়সি আফগান মেয়েদের ৮০ শতাংশ মেয়ে এবং যুবতি বয়সি মিলিয়ে মোট ২৫ লাখ শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার বাইরে রয়েছে। মেয়েদের স্কুলগুলো বন্ধ রাখার তালেবানের সিদ্ধান্তটি গত ২০ বছরে নারী শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অর্জনকে ধূলিসাৎ করেছে।

মর্যাদা নিয়ে জীবনযাপন

১৯৯৬ সালে তালেবান প্রথম ক্ষমতায় আসার সময় হোসনা জালিলের বয়স ১০ বছরও ছিল না। ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যবর্তী সময় সেখানে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

দক্ষিণ-পূর্ব গজনি প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হোসনা এই নিষেধাজ্ঞায় আক্রান্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। নিজ শিক্ষা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি একটি মসজিদের ভেতরে পরিচালিত একটি সম্প্রদায়ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তালেবান কর্তৃপক্ষের অজান্তে আনুষ্ঠানিক পাঠ্যক্রম শেখানো হতো।

তিনি বলেন, তালেবান কর্মকর্তারা মসজিদে অভিযান চালাতে গেলে সমস্ত শিশু অন্য বইগুলো লুকিয়ে ধর্মীয় বই বের করত।

তিনি আরও বলেন, আমার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসত। কারণ, আমরা জানতাম না ধরা পড়লে আমাদের কী হবে! 

২০০১ সালে তালেবান পতনের পরে জালিল পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

২০১৮ সালে ২৬ বছর বয়সে হোসনা জালিল নারী হিসেবে আফগানিস্তানের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। 

জালিল ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল তালেবানদের হাতে পড়ার কয়েক মাস আগে সরকারি ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন।

তিনি বলেন, দুটি তালেবান যুগের মধ্যে ২০ বছরের ব্যবধান মানুষকে বদলে দিয়েছে। একজন নারী কীভাবে তাদের মৌলিক অধিকার নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে সে সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।

নারীদের কর্মসংস্থান ২৫ শতাংশ হ্রাস

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) অনুমান অনুসারে, ২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিম-সমর্থিত সরকার প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির পতনের পর থেকে আফগানিস্তানে নারী কর্মসংস্থান এক চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আইএলওতে আফগানিস্তানের সিনিয়র সমন্বয়কারী রামিন বেহজাদ বলেন, মেয়ে ও নারীদের ওপর বিধিনিষেধ তাদের শিক্ষা ও শ্রমবাজারের সম্ভাবনার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলছে। 

২০২২ সালের ডিসেম্বরে এনজিওগুলোতে কাজ করতে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালেবান। ইউএনওএইচএ অনুসারে, দেশটির এনজিও কর্মীদের ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ নারী।

সূত্র : আলজাজিরা

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা