প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩ ২০:১০ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩ ২০:৪৬ পিএম
এমফিটামিন একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাদক। গত এক দশকে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোয় মাদকটির সেবন বেড়েছে। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি আরবে সম্প্রতি প্রায় ৪৭ লাখ পিস এমফিটামিন বড়ির একটি চালান জব্দ করা হয়েছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) সরকারি বিবৃতির বরাতে সৌদি আরবের সরকারি সংবাদ সংস্থা এসপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহিত সাগর উপকূলের পশ্চিম হেজাজের জেদ্দা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার পিস এমফিটামিনের ওই চালান জব্দ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জর্দানের এক নাগরিক জড়িত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম আল-মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমফিটামিন অত্যন্ত শক্তিশালী মাদক। এটি সেবন করলে শরীর ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ফলে মনোযোগ দ্রুত ভেঙে যায়। অর্থাৎ কোনো কিছুতে ঠিকমতো মনোযোগ দেওয়া যায় না। দু-একবার সেবন করলে এর আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব।
আরব সেন্টারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গালফ অঞ্চলের দেশগুলোয় এক দশকের বেশি সময় ধরে এমফিটামিনের ব্যবহার ক্রমশ বেড়েছে। বিশেষ করে সৌদিতে এ সমস্যা অত্যন্ত প্রকট।
একদিকে বেকারত্ব বাড়া ও অন্যদিকে উচ্চবিত্তের সন্তানের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকায় এমফিটামিনের বিস্তার বেড়েছে। কারণ যারা বেকার তারা এ মাদক সেবন করে ক্ষণিকের জন্য হতাশা থেকে মুক্তি পায়। অন্যদিকে উচ্চবিত্তের সন্তানের বিপুল অর্থ আছে কিন্তু নিষ্কর্ম হওয়ায় তারাও শখ করে এ মাদকে ডুব দেয়।
সৌদি আরব ও গালফের অন্য দেশে আগেও বেশ কয়েকবার এমফিটামিনের বড় কয়েকটি চালান জব্দ করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে জর্দানে এক টন বা প্রায় ৬০ লাখ পিস এমফিটামিন জব্দ করা হয়।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে সৌদি আরবে এক চালান থেকে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ পিস এমফিটামিন জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে সিরিয়ায় এমফিটামিনের চালান জব্দ করার প্রায় খবর শোনা যায়। পার্শ্ববর্তী লেবাননেও একই অবস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গালফ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে মাদকটি স্থলপথে জর্দানে যায়। সেখান থেকে তা সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে ছড়িয়ে পড়ে।
২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধারা এমফিটামিনের ব্যবসা করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। মূলত তখন থেকেই মাদকটি ওই অঞ্চলে গণহারে ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র : আল-মনিটর