প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪০ পিএম
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি অংশ বিশেষ। ২০১৭ সালে হুতিদের থেকে উদ্ধার করা। ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেনে বিদ্রোহী হুতিদের অস্ত্র না দিতে সম্মত হয়েছে ইরান। চীনের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে করা সৌদি আরব ও ইরানের ঐতিহাসিক চুক্তির মধ্যে তেহরান এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের (ডব্লিউএসজে) এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
আরব নিউজ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ডব্লিউএসজেকে বলেন, সৌদি ও ইরানের চুক্তির ফলে ইয়েমেনে শান্তি ফেরার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে করা চুক্তি সফল করার জন্য ইয়েমেনের হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ না করারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ইরানের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের বিধান মেনে ইরান হুতিদের অস্ত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকবে বলে আশা করে সৌদি আরব। এতে করে সৌদি আরবে হামলা ও নতুন অঞ্চলের দখলে নেওয়ার ক্ষমতা হারাবে হুতি।
২০১৪ সাল থেকে সৌদি সমর্থনপুষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইয়েমেনের শিয়া ধর্মাবলম্বী হুতিরা। এরা শিয়া হলেও ঠিক ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের থেকে তারা নানান দিক থেকে আলাদা। সে যাই হোক, গৃহযুদ্ধের শুরু থেকে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানান ধরনের অস্ত্র দিয়ে আসছে ইরান। এসব অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরবের তেল স্থাপনাসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় হামলা চালানো হয়েছে।
হুতিদের অস্ত্র দেওয়ার বাহিরে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারি ও অন্য অসংখ্য ইস্যুতে রিয়াদ-তেহরানের মধ্যে সাপে-নেওলে সম্পর্ক। এ অবস্থায় এক শিয়া ধর্মীয় নেতার ফাঁসি কার্যকর করায় সাত বছর আগে সৌদি আরবের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ইরান। জবাবে সৌদি আরবও একই পদক্ষেপ নেই। এরপর থেকে বৈরী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে থাকে।
এ অবস্থায় চুপিসারে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গত সপ্তাহে রিয়াদ-তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক ফের স্থাপনের বিশেষ কৃতত্ব দেখায় বেইজিং। এটা মধ্যপ্রাচ্যে চীনের সার্বিক তৎপরতা বাড়ার লক্ষণ।
চীনের মধ্যস্থতায় রিয়াদ-তেহরানের চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব শক্তি সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ