× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছিল : গবেষণা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১০:৪৭ এএম

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১২:৩০ পিএম

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওই মাতৃমৃত্যু হার উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওই মাতৃমৃত্যু হার উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের মৃত্যুহার ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি বেড়েছে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিস্টিক্সের রিপোর্ট অনুসারে ২০২১ সালে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ২০৫-এ পৌঁছে। এ সংখ্যা আগের বছর ছিল ৮৬১। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওই মাতৃমৃত্যু হার উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।

প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১ সালে হিস্পানিক নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু হার প্রায় ৫৪ শতাংশ, শ্বেতাঙ্গ নারীদের ৩৯ শতাংশ এবং কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের ২৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছরই বিশ্ব করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতি ৫০০ জনের মধ্যে একজন আমেরিকান করোনভাইরাসজনিত রোগে মারা যায়।

যদিও নতুন প্রতিবেদনে মহামারির উল্লেখ নেই। তবে মাতৃস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাভাইরাস মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধির জন্য দায়ী অনুমান করা স্বাভাবিক। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত গর্ভবতী নারীদের মৃত্যুঝুঁকি সাধারণ গর্ভবতী নারীদের তুলনায় সাত গুণ বেশি।

নিউইয়র্কের এসইউএনওয়াই ডাউনস্টেট হেলথ সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ক্যামিল ক্লেয়ার বলেছেন, ‘করোনভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত নারীদেরও জটিলতার হার বেশি ছিল, তাদের নিবিড় পরিচর্যায় ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। ফলে তারা নবজাতকের সমস্যা বৃদ্ধি, অকাল জন্ম ও মৃত্যু দেখতে পান।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারিটি ইতোমধ্যে উপস্থিত সংকটের শীর্ষে থাকা মাতৃমৃত্যু হারের ওপর সত্যিই নাটকীয় প্রভাব ফেলেছিল।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার অনুসন্ধান করছেন এবং কেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও শিশুদের জটিলতা এবং মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি তা বুঝতে পেরেছেন।

মা ও শিশু স্বাস্থ্যের পরিচালক কণিকা হ্যারিস বলেছেন, ‘আপনি গর্ভবতী হওয়া এবং জন্মের প্রক্রিয়ার ওপর ফোকাস করে সমস্যাটির সমাধান করতে পারবেন না।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ এবং ফেডারেল কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, মাতৃমৃত্যু মোকাবিলা করার অর্থ হলো বর্ণবাদ, আবাসন নীতি, পুলিশিং, জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও মহামারি দ্বারা গর্ভবতী মায়েদের ওপর আরোপিত প্রভাবগুলো বোঝা।

মিনেসোটা স্কুল অব পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যান্টিরাসিজম রিসার্চ ফর হেলথ ইক্যুইটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক র‌্যাচেল হার্ডম্যান বলেছেন, ‘মহামারিটি যেসব উপায়ে মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে, সেগুলো সম্ভবত আমরা খুঁজে পাইনি।’

হার্ডম্যান বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরের সামাজিক উত্থানের ফলে বারবার হরমোন স্পাইকগুলো কীভাবে মানুষকে প্রভাবিত করেছে তা দেখার বিষয়। আমরা পরিমাপ করতে পারিনি যে, এটি শরীরে কী করেছে, কীভাবে এটি শরীরকে বার্ধক্য করে, কীভাবে এটি প্রভাবিত করে ইত্যাদি।’

ফেডারেল রিপোর্টটি স্পষ্টভাবে গর্ভাবস্থা বা প্রসবের সঙ্গে সম্পর্কিত মৃত্যুর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যে, প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, রক্তক্ষরণ বা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো অবস্থাসহ বা জন্ম দেওয়ার পরপরই সময় সাধারণত ছয় সপ্তাহ হয়। এটি দেখায় যে, বয়সের সঙ্গে মাতৃমৃত্যু হার বেড়েছে।

মৃত্যুর হার ৪০ বছরের বেশি বয়সি নারীদের জন্য সর্বোচ্চ এবং ২৫ বছরের কম বয়সি নারীদের হারের চেয়ে ৬.৮ গুণ বেশি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উভয় গ্রুপেই মাতৃমৃত্যু হার ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা