শীর্ষ সম্মেলন ও সংবাদ সম্মেলনের পর কিশিদা ইউনের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। ছবি : আলজাজিরা
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা এক শতাব্দীর কঠিন ইতিহাস এক পাশে রেখে আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
১২ বছর পর প্রথম জাপান সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে টোকিও শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল উত্তর কোরিয়ার ঘন ঘন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা।
প্রসঙ্গত, ইউন টোকিওতে আসার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া একটি নিষিদ্ধ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কিছু বিতর্কিত বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় সফর পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ২০১৮ সালে স্থগিত নিরাপত্তা সংলাপ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছেন এ দুই নেতা।
কিশিদা আলোচনার পর ইউনের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান কৌশলগত পরিবেশে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক জোরদার করা জরুরি। আমি আশা করি এ সফর বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব লালন করবে এবং জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে।’
জাপানি মিডিয়া জানিয়েছে, নতুন ‘শাটল কূটনীতি’ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। কিশিদা ইউনকে মে মাসে হিরোশিমায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এরপর তিনি সিউল সফর করতে পারেন।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউন।
ইউন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে আজকের বৈঠকের একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। আমরা আমাদের দুই দেশের জনগণকে জানাতে চাই যে, দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান সম্পর্ক বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয়ের কারণে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। আজ তা নতুনভাবে সূচনা করল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোরিয়া ও জাপানকে অবশ্যই এ অবৈধ হুমকিগুলো বুদ্ধির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সংহতির মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।’
ওই শীর্ষ সম্মেলন এবং সংবাদ সম্মেলনের পর কিশিদা ইউনের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন।
শীর্ষ বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘অপরিহার্য মিত্র’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘সিউল ও টোকিওর মধ্যে উন্নত সম্পর্ক আমাদের সাধারণ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারগুলোকে এগিয়ে নিতে এবং ত্রিপক্ষীয় সুযোগগুলো গ্রহণ করতে সাহায্য করবে। আমাদের একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এ ইতিবাচক পদক্ষেপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ও প্রেসিডেন্ট ইউনকে সাধুবাদ জানাই।’
সূত্র : আলজাজিরা
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.